সকালে ঘুম থেকে ওঠা, ব্রেকফাস্ট করা, রাস্তায় যানজট ও ভিড় সামলে, অফিসে পৌঁছোনো। এরপর দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ধরে অফিসে বসে কাজ করা, বাড়িতে ফিরে আসা, তারপর🧜 রাতে ঘুমের পরে, পরের দিন থেকে একই রুটিনের পুনরাবৃত্তি করা, একঘেয়ে জীবনের একটা ছোট্ট গল্প এটি। ভারত সহ বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের জন্য যা একটি স্ট্রাগলই বটে। আর এই স্ট্রাগল আর বেশিদিন করতে হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন এক বিশেষ ব্যক্তি, লিঙ্কডইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, আগামী ১০ বছরে কাজের এই সংস্কৃতি শেষ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: (Viral: রান্নাঘর 🌸থেকে 🐎সোজা খাবার পরিবেশন করছে রোবট ‘অনন্যা’, হোটেলের ভিডিয়ো ভাইরাল)
আসলে, লিঙ্কডইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রিড হফম্যানের একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছিলেন। সেই কথাগুলো আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইমলাইটে উঠে এসেছে। এই সাক্ষাৎকারে হফম্যান ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ঐতিহ্যগত চাকরির নিয়ম꧋ খুব শীঘ্রই অতীতের বিষয় হয়ে উঠবে। উদ্যোক্তার এই ভবিষ্যদ্বাণী কর্মসংস্থানের পরিবর্তিত নিয়ম সম্পর্কে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
হফম্যান সেদিন বলেছিলেন, 'আপনি আপনার কর্মজীবনে শুধুমাত্র একাধিক কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন না। আপনি একাধিক শিল্পে কাজ করতে পারেন। শিল্পগুলির পরিবর্তন হচ্ছে। আপনার এগিয়ে যাওয়া পথও পরিব🥃র্তন হচ্ছে। আপনি হয়তো গিগ ইকোনমিতে কাজ করছেন। আপনার দুই বা তিনটি গিগ থাকতে পারে। গত কয়ে𝐆ক দশক ধরে আমরা কর্মীবাহিনীতে যা দেখেছি তার সবগুলোরই দিকনির্দেশক পরিবর্তন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: (অলিম্পিক্সের উদ্বোধনে হাজির ‘নীল মানব’! কে এই গা🉐য়ক? অদ্ভুত সাজের কারণটাই বা কী)
সম্প্রতি, ভারতীয়-আমেরিকান উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারী নীল তাপারিয়া হফম্যানের সাক্ষাৎকারের ক্লিপটি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, আপনার ৯ থেকে ৫টা পর্যন্ত কাজের দিন শেষ হতে চলেছে। ২০৩৪ সালের মধ্যে, এই প্রবণতা শেষ হয়ে যাবে। তাপারিয়া রিড হফম্যানের আরও তিনটি ভবিষ্যদ্বাণী হাইলাইট করেছেন, যা সত্য হয়েছে। এর আগে লিঙ্কডইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলি বিশ্বকে বদলে দেবে। এরই পাশাপাশি হফম্যান চ্যাটজিপিআইটি চালুর কয়েক বছর আগে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিপ্লবেরও ভব🦋িষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
রিড হফম্যান কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেন
৫৬ বছর বয়সী রিড হফম্যান, মার্কিন নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাটিক রাষ্ট্রপতি মনোনীত হিসাবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান দাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, আমি নভেম্বরে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তর💧াষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি পদে কমলা হ্যারিসকে আন্তরিকভাবে সমর্থন করি।