উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে পরীক্ষার ফলাফল দেখে কার্যত চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। সিংহভাগই ফেল। কেন অকৃতকার্য হলেন পড়ুয়ারা তা জানতে চেয়ে বিশ্🏅ববিদ্য়ালয় চত্বরে তুমুল বিক্ষোভ। পড়ুয়ারা রীতিমতো পোস্টার নিয়ে এসে বিক্ষোভ শামিল হন। তাদের দাবি, ৯০ শতাংশ পড়ুয়া ফেল করেছে। এটা কিছুতেই মানা যায় না। কেন এই হতাশাজনক ফলাফল হল সেটা বিশ্ববিদ🙈্যালয়কে জানাতে হবে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা।
এদিকে ফেল করা ছাত্রছাত্রীরা একেবারে দল বেঁধে চলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। তারপর শুরু হয় বিক্ষোভ। তবে এবার স্নাতকস্তরের প্রথম সেমেস্টারের রেজাল্ট দেখে চোখ কপালে উঠেছে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের। এদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি, উত্তরপত্রের ফের পুনর্মূল্যায়ণ করতে হবে। সেই রিভিউর ফি কমাতে হবে। কেন এত বিরাট সংখ্য়ক ছাত্রছাত্রী পাশ করতে পারল না তার জবাব দিতে হবে বি🎀শ্ববিদ্যালয়কেই।
এদি𒁏কে পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আসলে ফেল করার দায় কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় নেবে সেটাও বুঝতে পারছেন না অনেকে। কারণ অনেকের মতে, করোনার সময় অনেকেই বই দেখে পরীক্ষা দিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। তবে এবার আর সেসব করা যায়নি। তার কোনও প্রভাব পড়েছে কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সেই সঙ্গেই কলেজগুলিতেও ঠিকঠাক ক্লাস হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই নতুন এই সেমেস্টার সম্পর্কে পরিচিত নন। কলেজ কর্তৃপক্ষ কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি পড়ুয়াদের বুঝিয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধীনে সব মিলিয়ে ৪৯টি কলেজ রয়েছে। আর অধিকাংশ কলেজেই দেখা যাচ্ছে প্রথম সেমেস্টারে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ফেল কর🦩েছে। উত্তরবঙ্গ সংবাদের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিএ মেজর-এ ছাত্রদের ফেলের হার ৯৪ শতাংশেরও বেশি। আর অন্য়দিকে সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি ছাত্রী পাশ করতে পারেননি। এদিকে বিএসসি-বিকমের ক্ষেত্রে পাশের হার ৩২ শতাংশেরও কম।
বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তারপরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্দরে।ꦺ তবে সূত্রের খবর, ওই পড়ুয়ারা পরবর্তী সেমেস্টারে পরীক্ষা দিতে পারবেন𓄧।
নতুন শিক্ষানীতি প্রথম সেমেস্টারে সব মিলিয়ে বিএ মেজর-এ ১৩ হাজার ৬৪২জন ছাত্র পরীক্ষায় বসেছিলেন। সব মিলিয়ে ২২ হাজার ৯৩২জন ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্য়ে মাত্র ৮১২জন ছাত্র পাশ করেছেন। অর্থাৎ শতাংশের হারে পাশ ক🐲রেছেন ৫.৫৯ শতাংশ ছাত্র। আর অন্যদিকে ২৩১৯ জন ছাত্রী পাশ করেছেন। সেক্ষেত্রে পাশের হার মাত্র ১০.১১ শতাংশ। বিএসসি মেজর-এ ২০৩২ পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার মধ্য়ে পাশ করেছেন ৫৭০জন।