সবরকম রাস্তাই খোলা রাখা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের পথে হাঁ🌼টল সিবিএসই। কেন্দ্রীয় বোর্ডের তরফে জানানো হল, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ঘিরেꦚ অনিশ্চয়তা এবং সবপক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে এবার দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ🎶দিন ধরেই একটি অংশের তরফে বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের দাবি তোলা হচ্ছিল। তবে প্রাথমিকভাবে দ্ব♔াদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই ছিল কেন্দ্র। সূত্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল, অধিকাংশ রাজ্যও পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে ছিল না। বরং পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ মাধ্যমিকের ধাঁচে ছোটোভাবে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে ছিল অধিকাংশ রাজ্য।
যদিও সোমবার করোনা পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) এবং দা ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট সেকেন্ডারি এডুকেশনের (সিআইএসসিই) দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে মামলার শুনানিতে বিচারপতি এ এম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছিল, কেন্দ্র যদি বোর্ড পরীক্ষা আয়োজনের ক্ষেত্রে গতবারের নীতি থেকে সরে যায়, তাহলে অতি অবশ্যই ‘স্পষ্ট কারণ’ ☂দর্শাতে হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপালকে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হযেছিল, ‘যদি আপনারা গত বছরের নীতি থেকে সরে আসেন, তাহলে ঠিকঠাক কারণ দর্শান, যাতে আমরা তা খতিয়ে দেখতে পারি।’
শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের পর দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা ꦛনিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকের পরই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের ঘোষণা করে সিবিএসই। কিন্তু তাহলে কীভাবে নম্বর দেওয়া হবে? কেন্দ্রীয় বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপযুক্ত পদ্ধতি মেনে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হবে। গত বছরের মতো এবারও যদি কোনও পড়ুয়া নিজেদের প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে পরীক্ষা দিতে পারবেন। পরিস্থিতি উপযুক্ত হলে সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, 'দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল হয়ে হওয়ায় আমি স্বস্তি পেয়েছি। ছেলেমেয়েদের স্বা𝓰স্থ্যের বিষয়ে আমরা সবাই অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলꦛাম। বড়সড় স্বস্তি।'