দেশজুড়ে লকডাউন চললেও সময়টা মোটেই হেলাফেলার নয়। এ হল আগামী দিনের জন্য নিজেকে☂ গুছিয়ে নেওয়ার পর্ব। যাঁরা কাজের জন্য এখনও ঝকঝকে CV বা জীবনপঞ্জি তৈরি করে উঠতে পারেননি, তাঁরা এই ফাঁকা সময় যথাযথ কাজে লাগাতে পারেন।
পেশাদার দুনিয়ায় নজর কাড়তে ছিমছাম আকর্ষণীয় CV বা কারিকুলাম ভিটা তৈরি করতে দক্ষতা প্রয়োজন। দু’ পাতার পরিসরে নিজেকে যথাযথ চেনানোর একমাত্র চাবিকঠি CV বানানোর আগে কিছু জরুরি𝔉 টিপস জেনে রাখা দরকার।
প্রথমেই নজর রাখুন:
• প্রথমেই ঠিক করে নিতে হবে💃 কী ধরনের সি ভি ল😼িখবেন। নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে কী ধরনের কাজের জন্য আবেদন করবেন, তা নিজেকে ঠিক করে নিতে হবে।
• এরপর CV-র বহরের দিকে নজর দিতে হবে। পাতার পর পাতা জুড়ে নিজের বিবরণ দেওয়া চলবে ন♑া। তাই বড় জোর দুই পাতা- এর বেশি CV বড় করার প্রয়োজন নেই।
• সহজ-সরল ইংরেজিতেꦦ সিভি লিখতে হবে। বানানের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে, কারণ CV-তে ভুল থাকলে আপনার দক্ষতা সম্পর্কে নিয়োগকর♎্তার বিরূপ মনোভাব তৈরি হবে।
• CV লেখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের🤡 ফন্ট ব্যবহার করা উচিতꦺ নয়। গোটা CV একই রকম ফন্টে লিখতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরিচিত ফন্ট ব্যবহার করাই ভালো। ফন্ট-এর আকার ১২ থেকে ১৪ পয়েন্টের মধ্যে রাখাই ভালো।
• CV -তে নিজের বিবরণের সঙ্গে ছবি 𒈔যেন না থাকে। কোনও নকশাও ব্যবহার করা চলবে না। CV হবে ছিমছাম।
• আজকাল বহু জায়গাতেই অনলাইন আবেদন গ্রাহ্য হয়। সেই🧔 কারণে হার্ড কপি তৈরি🅺 করার পাশাপাশি CV-র সফট কপিও তৈরি করে রাখা প্রয়োজন। মনে রাখা দরকার, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ইন্টারভিউয়ে ডাকার আগে ইমেল-এর মাধ্যমে সিভি পাঠাতে বলে।
CV লেখার খুঁটিনাটি:
𓆏CV-র শুরুতেই🎃 নিজের নাম, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর, ই মেল অ্যাড্রেস উল্লেখ করতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
এ ক্ষেত𒉰্রে শেষ থেকে শুরু করতে হবে। অর্থাৎ জীবনের প্রথম পরীক্ষার তথ্য লিখতে হবে সবার শেষে। প্রথমে থাকবে একদম শেষে যে পরীক্ষায় পাশ করেছেন, তার কথা। সেই সঙ্গে লিখতে হবে ডিꦇগ্রি, প্রতিষ্ঠান বা বোর্ডের নাম ও প্রাপ্ত নম্বর।
স্কুল কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্য কোনও কোর্স করা থাকলে,༒ তা উল্লেখ করতে হবে।
অভিজ্ঞতা:
যাঁরা আগে কোথাও চাকরি বা ইন্টার্নশিপ করেছেন, তাঁদের সে সব উল্লেখ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পদের নাম, সংস্থার নাম, কাজের মেয়াদ, কী দায়িত্ব ছিল ইত্যাদি অতি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। শিক্ষা👍গত যোগ্যতার মতো এখানেও শেষ চাকরির কথা আগে লিখতে হবে।
এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি:
CV-র শেষ পর্যায়ে লিখতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও চাকরির আওতার বাইর𒁃ে থাকা অতিরিক্ত যা কিছু আছে, তার কথা। যেমন কোনও হবি বা ব্যক্তিগত শখ থাকলে তার উল্লেখ করতে হবে। কোথাযও কোনও বিশেষ পুরস্কার বা শংসাপত্র পেয়ে থাকলে, তার উল্লেখও করতে হব🃏ে।
মনে রাখতে হবে কোনও ভাবেই কোনো বাড়তি কথা 🎉CV-তে লেখা চলবে না। একটি CV বানিয়ে তা সব জায়গায় দেওয়ার অভ্যাস বর্জন করতে হবে, কারণ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের পৃথক বৈশষ্ট্য থাকে। তাদের চাহিদা আর ব✅ৈশিষ্টের কথা মাথায় রেখে সি ভি সাজাতে হয়। গুরুত্ব অনুসারে তথ্যলোগুলি যোগ-বিয়োগ করতে হবে বা আগে-পরে সাজিয়ে নিতে হবে।