বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা বাতিলের আর্🐻জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল একগুচ্ছ মামলা।🍌 আজ (শুক্রবার) সেই সংক্রান্ত মামলার রায় দেবে শীর্ষ আদালত।
গত ৬ জ🔴ুলাই একটি নির্দেশিকা জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) জানায়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত টার্মের পরীক্ষা নিতে হবে। সেই নির্দেশিকার বৈধতা নিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টা সময় রায়দান করবে বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন ♔বেঞ্চ।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সেই পরীক্ষা খারিজের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ জন ছাত্রছাত্রী। তাঁদꦗের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। মোট ১৩ টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওই পড়ুয়াদের আর্জি জানান, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন (ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট) বা আগের ফলের ভিত্তিতে নম্বর হিসাব করে মার্কশিট দেওয়া হোক। শিবসেনার যুব সংগঠন যুবসেনাও একই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে।
শুধু পড়ুয়ারা নন, ইউজি♉সির নির্দেশিকায় আপত্তি জানায় পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্য। দিল্লি ও মহারাষ্ট্র তো একধাপ এগিয়ে পরীক্ষা বাতিল করে দেয়। পরে দুই রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতে জানানো হয়েছিল, করোনা আবহে ২০০৫ সালের বিপর্ষয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করে চূড়ান্ত টার্মের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধা☂ন্ত নেওয়া হয়েছে।
যদিও প্রথম থেকেই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ১০ অগস্ট শুনান🃏♎ির চলাকালীন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছিলেন, ‘মহারাষ্ট্র ও দিল্লি সরকার যে হলফনামা পেশ করেছে, তা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশিকার (৬ জুলাইয়ের নির্দেশিকা) পরিপন্থী। যখন ডিগ্রি প্রদানের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হল ইউজিসি, তখন কীভাবে রাজ্য সরকারগুলি পরীক্ষা বাতিল করতে পারে এবং আশা করে যে ইউজিসি ডিগ্রি প্রদান করবে!’ পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে ইউজিসির অনমনীয় মনোভাব বোঝাতে সলিসিটর জেনারেল বলেছিলেন, 'পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে। যদি পরীক্ষা না হয়, তাহলে ডিগ্রি দেওয়া হবে না। এটাই আইন’।
তারইমধ্যে ১৩ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছিল, চূড়ান্ত বর্ষ বা সেমেস্টারের পরীক্ষার জন্য নিয়ন্ত্রিতভাবে দেশের বিশ🧸্ববিদ্যালয়গুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারপর আরও সওয়াল-জবাবের পর ১৮ অগস্ট রায়দান স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সেই রায়দান করতে চলেছে শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ।