আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্🐽🐓যে বাধ্যতামূলকভাবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষ বা সেমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশিকায় আপত্তি জানাল পশ্চিমবঙ্গ। একইসঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের শারীরিক এবং মানসিক কল্যাণের স্বার্থে কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হল।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ এবং উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি লিখে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মণীশ জৈন জানান, কেন্দ্রের সংশোধিত নির্দেশিকাকে বাধ্যতামূলক না করে রা�⛦�জ্যকে নিজের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অনুমতি দেওয়া হোক। চিঠিতে তিনি পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সংশোধিত নির্দেশিকা অনুযায়ী চূড়ান্ত টার্ম পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত সংবিধানে উল্লিখিত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। শিক্ষা যুগ্ম তালিকায় থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি ইউজিসি। অথচ নির্দেশিকা তৈরির ক্ষেত্রে ইউজিসিকে আলোচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত এপ্রিল থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ‘ভারতের মতো বড় দেশে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অফলাইন পরীক্ষা নেওয়ার জন্য পরিস্থিতি সহায়ক হবে কিনা, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই।’ কেন্দ্রের তরফে বিকল্প হিসেবে অনলাইন পরীক্ষার সওয়াল করা হলে🌌ও তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। পড়ুয়াদের বড় অংশ এখনও উপযুক্ত নেট সংযোগ থেকে বঞ্চিতꦅ থাকায় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া উপযুক্ত নয় বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রের নির্দেশিকার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ৮০-২০ শতাংশ নীতিতে চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের পরামর্শ দিয়েছিল রাজ্য। অভ্যন্তরীণ আলোচনার পর যাদবপুর, কলকাতা, বিদ্যাসাগর, বিশ্বভারতী, রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ম্যাকাউট)-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। মোটামুটি জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ফল প্রকাশের কথ༺া বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ইউজিসির নির্দেশিকা, সেই প্রক্রিয়া পুরো ভেস্তে গিয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন বা ‘ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট’-এর পক্ষেই চিঠিতে সওয়াল করেছে রাজ্য। চিঠিতে জানানো হয়েছে, আভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন এবং পূর্ববর্তী সেমেস্টারের ভিত্তিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছেন পড়ুয়া, অভিভাবক-সহ সব পক্ষ।