ভারতীয় শ্রম কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে দেশের ফক্সকন কারখানা পরিদর্শন করেছেন। এরপরেই প্রকাশ্যে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। বিবাহিত মহিলাদের চাকরি দিতে নারাজ ছিল ফক্সকন। খবর দিয়েছিল রয়টার্স। তখনই, তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইতে অবস্থিত ফক্সকনের নিয়োগ নীতি সম্পর্🅠কে রিপোর্ট চেয়েছিল কেন্দ্র। রাজ্যের শ্রম দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিল সবটা খতিয়ে দেখতে। কারণ ১৯৭৬ সমান পারিশ্রমিক আইনের ধারা ৫-এ স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে পুরুষ ও মহিলা শ্রমিক নিয়োগের সময় কোনও বৈষম্য রাখা উচিত নয়। যদিও তখনই কেন্দ্রীয় সরকারকে সংস্থাটি জানিয়েছিল যে তাদের নতুন কর্মচারীদের ২৫ শতাংশই বিবাহিত মহিলা। আর অভিযোগগুলি খুব সম্ভবত এমন ব্যক্তিরা করেছেন, যাঁরা ফক্সন কোম্পানিতে চাকরি পাননি।
কী কী জানতে পেরেছে শ্রম দফতর
পিঠ বাঁচানোর জন্য কতটা সত্যি বলেছিল ফক্সকন সেটা জানাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚর জন্য, কেন্দ্রের নির্দেশ মত, গত ১ জুলাই অভিযান চালিয়েছিল তামিলনাড়ুর শ্রম দফতর। ফক্সকন কারখানা পরিদর্শন করে এবং কোম্পানির পরিচালক ও মানবসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে, আঞ্চলিক শ্রম কমিশনার এ. নারাসাইয়া টেলিফোনে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি, এবং কোম্পানিকে কোম্পানির নীতি, নিয়োগ নীতির মতো নথিপত্র জমা দিতে বলেছি। এরই সঙ্গে কোম্পানিকে শ্রম আইন মেনে চলার প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। তারা বিবাহিত মহিলা কর্মীদের মাতৃত্ব ও অবসরকালীন সুবিধার জন্য কীভাবে কাজ করছে, জানতে চাওয়া হয়েছে। কোম্পানি যদিও বলেছে যে তারা বৈষম্য করছে না।
নারসাইয়া আরও জানিয়েছেন, ফক্সকন শ্রম কর্মকর্তাদের বলেছ🎉ে যে কারখানাটিতে ৩৩,৩৬০ জন মহিলা সহ ৪১,২৮১ জন লোক নিযুক্ত রয়েছেন। এই মহিলাদের মধ্যে, প্রায় ২,৭৫০, অর্থাৎ প্রায় ৮ শতাংশই বিꦅবাহিত। শ্রম পরিদর্শকরা প্ল্যান্টের ভিতরে ৪০ জন বিবাহিত মহিলারও সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই মহিলারাও বৈষম্য নিয়ে কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
বিবাহিত মহিলাদের চাকরি না দেওয়ার বিতর্কের কারণ কী
আন্তর্জাতিক রয়টার্সের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল যে ফক্সকন চেন্নাইয়ের ক🅰াছে তার আইফোন প্ল্যান্টে বিবাহিত মহিলাদের চাকরির বাইরে রেখেছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানি বিশ্বাস করে অবিবাহিত নারীদের তুলনায় বিবাহিত নারীদের পারিবারিক দায়িত্ব বেশি, তাঁদের চাকরিও দেওয়া হলে মাতৃত্বকালী ছুটি দিতে হবে। শারীরিক অসুস্থতার জন্যও অতিরিক্ত ছুটি দিতে হতে পারে। কাজে তার ব্যাপক প্রভাব পড়বে। তাই কোম্পানি তাঁদের চাকরি দিতে চায় না। এর পর থেকেই শুরু যত বিতর্ক। অ্যাপল বলেছে যে যখন ২০২২ সালে কোম্পানির নিয়োগের নীতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল, তখন আমরা অবিলম্বে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম এবং সমস্যাগুলির সমাধান নিশ্চিত করতে মাসিক অডিট করেছিলাম। এখন এই ধরনের অসুবিধা নেই।
আরও পড়ুন: (Bizarr📖e: বাবার মৃত্যুর ভুয়ো খবর 🃏ছড়িয়ে ফ্রি-তে আমেরিকায় পড়ার সুযোগ…তারপর হল এই ছোট্ট ভুল)
ওলাও বিরোধিতা করেছিল ফক্সকন নীতির
সম্প্রতি, শুরু হয়েছিল ফক্সকন বনাম ওলা বিতর্ক। বিবাহিত মহিলাদের চাকরি দেওয়ার প্রসঙ্গে ওলা জানিয়েছিল অবশ্যই বিবাহিত মহিলাদের কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। অনলাইন ক্যাব পরিষেবা সংস্থা ওলার প্রতিষ্ঠাতা ভবিশ আগরওয়াল বলেছিলে🐽ন, বিবাহিত মহিলারা আরও সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ। বিবাহিত মহিলাদের নিয়োগ না করার জন্য ওলার, ফক্সকনের মতো কোনও নীতি নেই। ভারতে নারী কর্মীর সংখ্যা কম এবং আমরা এটি সমাধানের জন্য কাজ করছি। আমরা সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের জন্য আরও মহিলা কর্মচারী নিয়োগের চেষ্টা করছি।
ফক্সকনের ট্র্যাকরেকর্ড
রিপোর্ট অনু𝓰সারে, ফক্সকন কারখানায় বর্তমানে প্রায় ৭০💝 শতাংশ মহিলা এবং ৩০ শতাংশ পুরুষ কাজ করছেন এবং তামিলনাড়ু প্ল্যান্টটি দেশের মহিলাদের কর্মসংস্থানের বৃহত্তম কারখানা। সর্বোচ্চ সময়ে এই কারখানায় মোট ৪৫,০০০ শ্রমিক কাজ পেয়েছেন। সংস্থাটি সেই অভিযোগগুলিও অস্বীকার করেছিল, যা দাবি করেছে যে বিশেষত হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের ফক্সকনে গহনা পরার অনুমতি নেই। সংস্থাটি বলেছিল, কারখানায় কাজ করার সময় হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, সব ধর্মই এক। নিরাপত্তার কারণেই, সব ধর্মের সবাইকে এখানে ধাতু পরতে দেওয়া হয় না।