নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। দাবি উঠেছে নিট পরীক্ষা বাতিলের। যদিও নিট পরীক্ষা বাতিলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এরই মাঝে পটনায় নিট পরীক্ষা নিয়ে তদন্তে উঠে আসছে বিস্ফোরক সব তথ্য। জানা গিয়েছে, গত ৫ মে নিট পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট পরই পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে একটি খবর গিয়েছিল। জানানো হয়েছিল, একটি সাদা রঙের রেনল্ট ডাস্টার গাড়ি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে দেখা গিয়েছে। তদন্ত চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে এই গাড়ি একটি নির্দিষ্ট গ্যাং সদস্যের। এর আগে সেই গ্যাং সদস্যের বিরুদ্ধে প্রশ্নপ🥃ত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। আর গত ৫ মে বিহার পুলিশের ইন্সপেক্টর অমর কুমারের কাছে যে খবর আসে, তাতে ইঙ্গিত মেলে যে নিট পরীক্ষার 'পবিত্রতা' নষ্ট হয়ে থাকতে পারে।
পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ উঠেছে, নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। তারাই এই পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে। যদিও সরকারের তরফ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এই ন🅰িয়ে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান দাবি করেন, কিছু জায়গায় চ্যালেঞ্জ সামনে এলেও প্রায় ৪৫০০টি পরীক্ষা সেন্টারে শান্তিতে নিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এরই মাঝে 'দ্য প্রিন্ট'-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিট পরীক্ষা দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে নেমে বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউনিটের তরফ থেকে এনটিএ-কে যে সকল প্রশ্ন করা হয়েছিল, তার সবকটার জবাব দেওয়া হয়নি।
এদিকে বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউনিটের তদন্তে জানা গিয়েছে, এই দুর্নীতির সঙ্গে অন্তত ৩৫ জন পরীক্ষার্থী যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে ৪ জনকে পরীক্ষার দিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়া ꦿআরও ৯ জনকে চিহ্নিত করে তলব করা হয়েছে জেরার জন্যে। এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আরও ২২ জন পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করা বাকি রয়েছে। তারা এক একজন নাকি সেই পরীক্ষায় পাশ করতে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছিল। এদিকে বিহার পুলিশ এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৭, ৪০৮, ৪০৯ এবং ১২০বি নং ধারায় মামলা রুজু করেছে।
জানা গিয়েছে, গত ৫ মে যে সাদা গাড়ির বিষয়ে বিহার পুলিশের কাছে খবর এসেছিল, সেটি বাজেয়াপ্ত করে তা থেকে ৪ জন নিট পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হয়েছিল। সেই গাড়ি থেকে আটক হয়েছিলেন ৩ জন - সমস্তিপুরের সিকান্দর যাদভেন্দু (৫৬), দানাপুরের অখিলেশ কুমার (৪৩) এবং রোহতাসের বিট্টু কুমার (৩৮)। এই তিনজনকে পুলিশ জেরা করে। সেই সময় পেশায় জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকান্দর তদন্তকারীদের জানান, সঞ্জীব সিং, রকি, নী♛তীশ কুমার এবং অমিত আনন্দ নামক ব্যক্তিদের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এবং 'সেটিং' হয়। এদিকে সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি অ্যাডমিট কার্ড যাদের ছিল, তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে। এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত তদন্তকারীরা দাবি করছেন, ৫ মে-র তদন্তে যা সামনে এসেছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এই মামলার গোড়া আরও গভীরে থাকতে পারে।