বিএড ডিগ্রিধারীরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র ডিএড বা ডিএলএড ডিগ্রিধারীরা প্রাথমিক শিক্ষক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ কোনও চাকরিপ্রার্থী যদি শুধু বিএড করেন, তাহলে তিনি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। হতে পারবেন না প্রাথমিক শিক্ষক। ডিএড বা ডিএলএড ডিগ্রি থাকলে তবেই প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা যাবে। প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার সুযোগ মিলবে। আর ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গে যে প্রাথমিক টেট হয়েছিল, তাতে ꧋শুধুমাত্র বিএড ডিগ্রিধারী প্রচুর প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। অনেকে উত্তীর্ণ হয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। সেই পরিস্থিতিতে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক স্তরে পড়ানোর জন্য ডিএড বা ডিএলএড ডিগ্রিধারীরা বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। সেজন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র তাঁদের বিবেচনা করা উচিত। আর যে প্রার্থীরা বিএডে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তাঁরা শুধুমাত্র মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের ডিভিশনের বেঞ্চ। যে নির্দেশ পুরো দেশে কার্যকর হবে বꦍলে জানানো হয়েছে।
সেই নির্দেশের পর ২০২২ সালের পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধো😼ঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এমনিতেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গে চাকরির জন্য হাপিত্যেশ করে আছেন প্রার্থীরা। ২০২২ সালে প্রাথমিক টেট হতে প্রচুর প্রার্থী পরীক্ষা দেন। যাঁরা শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষা না হওয়ায় সেই স্বপ্নপূরণের সুযোগটুকুও পাচ্ছিলেন না। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তাঁরা ধোঁয়াশায় পড়ে গিয়েছেন। তেমনই একজন বলেন, ‘(আমাদের আমলে) একটাই টেট হল, ইন্টারভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তারপর হঠাৎ..।’💧
যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক♛ শিক্ষা পর্ষদের তরফে কোনও মন্তব্য ক⛎রা হয়নি। যে বিএড উত্তীর্ণরা ইতিমধ্যে টেট দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের কী হবে, সে বিষয়েও আপাতত কিছু জানায়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।