নিট ইউজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিতর্কের মাঝে বাতিল করা হয়েছিল ইউজিসি নেট। সেই সময় দাবি করা হয়েছিল, ডার্ক নেটে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার জেরে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। এই আবহে ইউজিসি নেট পরীক্ষা বাতিলের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সিবিআই-কে। সেই তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পেরেছে, যে ভাইরাল ভিডিয়োর ওপর ভিত্তি করে মনে করা হয়েছিল যে নেট-এর প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, সেই ভিডিয়োটি আদতে ভুয়ো। (আরও পড়ুন: কোষাগারে টাকার টান, তাও আরও এ🐷ক দফায় এই রাজ্যের কর্মীদের ডিএ বাড়াল সরকার)
আরও পড়ুন: 'টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে', বিধ𝓰বা স্মৃতিকে নিয়ে বিস্ফোরক শহিদ অংশুমানের বাবা-মা
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন দেশের ৩১৭টি শহরে মোট ৯ লাখ পরীক্ষার্থী ইউজিসি নেট দিয়েছিলেন। এরপর ১৯ জুন সেই পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করেছিল শিক্ষা মন্ত্রক। সেই সময় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়, সম্ভবত নেট পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। পরে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে নেট পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি 'প্রমাণ' এসেছিল। সেই প্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতেই নাকি পদক্ষেপ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রক। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে স্ক্রিনশট সামনে এসেছিল। সেই স্ক্রিনশটটি নাকি ১৮ জুন, পরীক্ষার দিনের দুপুর ২টোর সময়ের ছিল। সেই স্ক্রিনশটে নেটের প্রশ্নপত্র দেখা গিয়েছিল। এর থেকে মনে করা হয়েছিল, পরীক্ষার আগেই সেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। (আরও পড়ুন: তড়তড়িয়ে লাফাচ্ছে শেয়ার বাজার, তবে মাথায় হাত অপশন ট্রেডারদে༒র, আপডেট দিল জেরোধা)
আরও পড়ুন: হাতে বন্দুক নিয়ে কৃষককে ভয় দে🍌খাচ্ছেন IAS পূ♚জা খেদকরের মা, ভাইরাল পুরনো ভিডিয়ো
ভারতীয় সাইবারক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার বা আই৪সি সেই 'চ্যাটার' ধরেছিল। ইউজিসি-কে ১৯ জুন সেই তথ্য জানিয়েছিল আই৪সি। এরপর সেই রাতেই নেট পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করা হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রকের আবেদনে সিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করে। এই আবহে সিবিআই তদন্তে জানা গিয়েছে, যে স্ক্রিনশট সামনে এসেছিল, তা এমন ভাবে 'সাজানো' হয়েছিল, যা থেকে মনে হয় যে পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: বাডℱ়ল EPFO-র সু🅘দের হার, সরকারের সিদ্ধান্তে পকেট ফুলে উঠল ৭ কোটি চাকরিজীবীর)
আরও পড়ুন: শুক্রে শনির দশা হলুদ ধা♛তুর, লওাগাতার দ্বিতীয় দিন কলকাতায় দাম বাড়ল সোনার
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেলটি জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। এই ধরনের পরীষার আগে তারা দাবি করে যে পেপার ফাঁস হয়ে গিয়েছে এবং টাকার বিনিময়ে তা কেনা যাবে। এরপরে তাদের দাবি প্রমাণ করতে পরীক্ষার সময় এমন একটি ভুয়ো ছবি পোস্ট করা হয়, যা থেকে পড়ুয়ারা মনে করেন যে সত্যি সত্যি আগে থেকেই তাদের হাতে প্রশ্নপত্র ছিল। এবং এভাবে তারা পরীক্ষার্থীদের থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করার নামে টাক🦹া লুটে নেয়। এদিকে সিবিআই তাদের এই তদন্তের বিষয়ে সরকারকে জানিয়েছে। তবে এখনও এটা স্পষ্ট হয়নি যে ইউজিসি নেট বাতিলই থাকবে নাকি এই পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করেই পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে।