‘আপনারা করলে চমৎকার আর আমরা করলে প🌺িচ বেকার!’ দেড় দিনে শেষ হওয়ℱা কেপ টাউন টেস্টের বাইশগজ নিয়ে নিন্দুকদের খোঁচা দিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। বীরুর নিশানায় সেনা দেশের সেই সব সমালোচক, যাঁরা ভারতে স্পিন সহায়ক বাইশগজ হলেই নিন্দার ঝড় তোলেন।
ভারতে যখনই কোনও টেস্টের প্রথম দিন থেকে বল ঘুরতে শুরু করে, পিচ নিয়ে বিস্তর সমালোচনা করতে দেখা যায় উপমহাদেশের বাইরের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। ভারতে তিনদিনে খেলা শেষ হওয়া মানে বাইশগজ 🔜খেলার অযোগ্য ছিল বলে দাবি তোলা🍬 হয়। তবে যখন বিদেশের কোনও পেস সহায়ক পিচে ২ দিনে খেলা শেষ হয়ে যায়, বিশেষ উচ্চবাচ্য দেখা যায় না সেই সব সমালোচকদের মধ্যে।
সেহওয়াগ এক্ষেত্রে সুযোগ বুঝে পালটা দেন নিন্দুকদ🐻ের। তিনি বুঝিয়ে দেন যে, ভারত শুধু ঘরের মাঠে ঘূর্ণি পিচেই ভালো ক্রিকেট খেলে এমন নয়, বরং বিদেশের পেস সহায়ক পিচেও দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলতে পারে।
ভারত মাত্র দেড় দিনে♕ কেপ টাউন টেস্টে জয় তুলে নেওয়ার পরে সেহওয়াগ টুইট করেন, ‘আপনারা করলে চমৎকার, আমরা করলেই পিচ বেকার!’ সঙ্গে বীরু আরও লেখেন, ‘১০৭ ওভারেই ম্যাচ ওভার (শেষ)। এটাও প্রমাণ হয়ে গেল যে, পেসারদের জন্য সুবিধা থাকলে আমরা নিজেদের গুণমান দিয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠি।’ শেষে সেহওয়াগ যোগ করেন, ‘বুমরাহ ও সিরাজের বোলিং ছিল দেখার মতো। ২০২৪-এর শুরুটা হল দারুণভাবে।’
উল্লেখ্য, নিউল্যান্ডসে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্ট স্থায়ী হয় মোটে ১০৭ ওভার। সাকুল্যে ৬৪২﷽টি বলেই কেপ টাউন টেস্টে যবনিকা পড়ে যায়। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের সার্বিক ইতিহাসে বল সংখ্যার নিরিখে এটিই সব 𝓰থেকে ছোট ম্যাচের বিশ্বরেকর্ড।
কেপ টাউন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয় মোটে ২৩.২ ওভার। তারা ৫৫ রানে অল-আউট হয়। ভারত প্রথম ইনিংসে ১৫৩ রানে অল-আউট হয় ৩৪.৫ ওভার ব্যাট করে। দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ৩৬.৫ ওভারে। তারা দ্বিতীয় দফায় ১৭৬ রান তোলে। শেষ ইনিংসে ভারত মাত্র ১২ ওভার ব্যাট করেই ৩𝓀 উইকেটে ৮০ রান তুলে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
কেপ টাউন টেস্টে জয়ের সুবাদে ভারত ২ ম্যাচের সিরিজ ১-১ ড্র করে। এর আগে সেঞ্চুܫরিয়নের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা ১ ইনিংস ও ৩২ রানে জয় পায়।