সাম্প্রতিক সময়ে এমন ঘুরে দাঁড়ানোর নজির খুব কম দলই দেখাতে পেরেছে। সেদিক থেকে দেখলে আক্ষরিক অর্থেই ইতিহꦏাস গড়ল আয়ারল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ডের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে একথা বলতেই হয় যে, আত্মতুষ্টির মাশুল দিয়ে ভরাডুবির মুখে পড়তে হয় তাদের।
আয়ারল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ড মহিলা ওয়ান ডে সিরিজে নাটকীয় পট পরিবর্তন দেখা যায়। মনে হয় যেন ক্রিকেট নয়, বরং সাপ-লুডোর খে♚লা চলছে। গত ম্যাচে ইংল্যান্ড রেকর্ড রানের ব্যবধানে ম্যাত জেতে। অন্যদিকে গত ম্যাচে ৪৫ রানে অল-আউট হওয়া আয়ারল্যান্ড ঘুরে দাঁড়িয়ে ঠিক পরের ম্যাচেই জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ২০০১ সালের পরে এই প্রথম তারা মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারাতে সক্ষম হয়।
সোমবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে ৩২০ রান তুলে আয়ারল্যান্ডকে ৪৫ রানে অল-আউট করে দেয়। ২৭৫ রানের রেকর্ড ব্যবধানে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড। মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিꦯকেটে ইংল্যান্ড কখনও এর থেকে বেশি রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতেনি।
বুধবার সেই বেলফাস্টౠেই সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। এবার মন্দ আবহাওয়ার জন্য ম্যাচ ছোট হয়ে দাঁড়ায় ২২ ওভার প্রতি ইনিংসে। শুরুতে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ২০.৫ ওভারে ১৫৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
গত ম্যাচে ১৫০ রান করা ট্যামি বিউমন্ট এই ম্যাচে ৫২ ♕রান করে সাজঘরে ফেরেন। ২১ রান করেন স্কলফিল্ড। ১৫ রান করেন আর্মিটেজ। ১৭ রান করেন রিয়ানা। আয়ারল্যন্ডের হয়ে ১৯ রানে ৫ উইকেট নেন অ্যামি মাগুইর। ২টি উইকেট নেন ফ্রেয়া সার্জেন্ট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ড একসময় ২১ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৭ রান তুলে ফেলে। যদিও ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে তাদের সামনে🎐 জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৫ রানের। অর্থাৎ জিততে শেষ ওভারে ৮ রান দরকার ছিল আইরিশদের। শেষ ওভারে ম্যাডির প্রথম বলে ১ রান নেন স্টকেল। দ্বিতীয় বলে ২ রান নেন রেমন্ড। তৃতীয় বলে ২ রান নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট হন রেমন্ড।
অর্থাৎ, জিততে শেষ ৩ বলে ৪ রান দরকার ছিল আয়ারল্যান্ডের। ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ম্যাডি পরপর আউট করেন অ্যালিস টেক্টর ও জেন মাগুই💫রকে। পরপর ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড। জিততে শেষ বলে চার রান দরকার ছিল তাদের। ম্যাচের শেষ বলে চার মেরে আয়ারল্যান্ডকে ম্যাচ জেতান অ্যালানা। অর্থাৎ, শেষ বলের থ্রিলারে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় আইরিশ দল।
আরও পড়ুন:- CFL 2024: প্রবল বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ মাঠ, হাফ-টাইমেই স্থগিত মহামেডান-ভবানীপুর 𝓀ম্যাচ
আয়ারল্যান্ড ২২ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রান তুলে ম্যাচ জেতে। আইরিশদের হয়ে ৭২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন ক্যাপ্টেন গ্যাবি লুইস। ম্যাচের সেরা হন ৫ উইকেট নেওয়া অ্যামি মাগুইর। ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে। ৩ ম্যাচে ২১২ রান করে ♐সিরিজের সেরা হন ট্যামি বিউমন্ট।