ঘরের মাঠ ইডেনে স্পিনিং ট্র্যাকে ফেলে প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করার ইচ্ছা ছিল নাইট রাইডার্সের। তবে ইনেডের বাইশগজ ফের মুখ ফেরাল নাইট শিবির থেকে। ঘূর্ণি পিচ নয়, ইডেনের বাইশগজ রানের ডালি সাজিয়ে বসেছিল ব্যাটারদের জন্য। যেখানে চার-ছক্কার ফুলঝুরꦦি ফোটাতে বꦬিশেষ অসুবিধা হয়নি মিচেল মার্শ, নিকোলাস পুরানদের।
নাইট শিবিরের হয়ে অজিঙ্কা রাহানে, বেঙ্কটেশ আইয়াররাও পালটা লড়াই চালান বটে, তবে লখনউয়ে🍎র রানের পাহাড় টপকে জয় তুলে নেওয়া সম্ভব হয়নি হোম টিমের পক্ষে। ফলে আশা জাগিয়েও ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় কেকেআরকে।
ইডেনে কেকেআরের বিরুদ🧔্ধে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে লখনউ সুপার জাꦆয়ান্টস। দুই ওপেনার এডেন মার্করাম ও মিচেল মার্শ দলকে শক্তপোক্ত ভিতে বসিয়ে দেন। ওপেনিং জুটিতে লখনউ ৯৯ রান সংগ্রহ করে নেয়। শেষে ২৮ বলে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন মার্করাম। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি মার্শ-পুরানের
অপর ওপেনার মিচেল মার্শ ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন♏। তিনি ৪৮ বলে ৮১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে আউট হন। মার্শ নিজের আগ্রাসী ইনিংসে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন।
তিন নম্ব🌌রে ব্যাট করতে নেমে নিকোলাস পুরান ২টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২১ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৩৬ বলে ৮৭ রানের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। পুরান মোট ৭টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন। আবদুল সামাদ ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪ বলে ৬ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। ৪ বলে ৪ রান করে নট-আউট থাকেন ডেভিড মিলার।
লখনউ সুপার জায়ান্টস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৮ রান সংগ্রহ করে। আইপিএলের সার্বিক ইতিহাসে লখনউ সুপার জায়ান্টসের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস। আইপিএলে সুপার জায়ান্টসের সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস ৫♛ উইকেটে ২৫৭ রানের। ২০২৩ সালে মোহালিতে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে সেই বিশাল ইনিংস গড🍌়ে তোল সুপার জায়ান্টস।
কেকেআরের হয়ে এই ম্যাচে ৪ ওভারে ৫১ রান খরচ করে ২ট💃ি উইকেট তুলে নেন হর্ষিত রানা। ২ ওভারে ৩২ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। বরুণ চক্রবর্তী ও সুনিল নারিন কোনও উইকেট পাননি। ইডেনের পিচ কাজে লাগিয়ে লখনউ ব্যাটারদের রান তোলার গতিতে ব্রেকও লাগাতে পারেননি🅷 নাইট রাইডার্সের দুই স্পিনার।
তীরে এসে তরী ডোবে কেকেআরের
পালটা ব্যাট করতে নেমে কেকেআরও শুরু থেকেই ঝড়ের গতিতে রাඣন তুলতে থাকে। তারা পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৯০ রান সংগ্রহ করে নেয়। আইপিএলের পাওয়ার প্লে-তে কেকেআরের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। যদিও এমন ধুমধাড়াক্কা শুরুর পরেও কেকেআরকে থেমে যেতে হয় জয়ের খুব কাছে গিয়ে। তীরে এসে তরী ডোবে অজিঙ্কা রাহানেদের। নাইট রাইডার্স ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৪ রানে আটকে যায়। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৪ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে জয় তুলে নেন লখনউ।
কেকেআরের হয়ে ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহাꦆনে ৩৫ বলে ৬১ রান করেন। তিনি ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২৯ বলে ৪৫ রান করেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৩ বলে ৩০ রান করেন সুনীল নারিন। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৫ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু সিং। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
লখনউয়ের হ🉐য়ে ৫৫ রানে ২টি উইকেট নেন আকাশ দীপ। ৫২ রানে ২টি উইকেট দখল করেন শার্দুল ঠাকুর। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন রবি বিষ্ণোই, আবেশ খান ও দিগ্বেশ ✅রাঠি। ম্যাচের সেরা হন নিকোলাস পুরান।