বয়স বেশি, তাই জাতীয় দলের প্রয়োজনের সময়েও চেতেশ্বর পূজারার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে꧑ রয়েছেন জাতীয় নির্বাচকরা। এমনটাই দাবি অনিল কুম্বলের। এক্ষেত্রে আকাশ চোপড়ার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন জাম্বো।
বিরাট কোহলি নেই। লোকেশ রাহুলের চোট। জাদেজা চোটের জন্য দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারেননি। শ্রেয়স আইয়ার মাঠের বাইরে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে নিতান্ত অনভিজ্ঞ দেখাচ্ছে। এমন দরকারের সময়েও জাতীয় নির্বাচকরা রজত পতিদার, সরফরাজ খান, ধ্রুব জু๊রেল, দেবদূত পাডিক্কালের মতো নতুনদের উপরে ভ🌠রসা রাখেন। অথচ রঞ্জিতে ঝুড়ি ঝুড়ি রান করা সত্ত্বেও জাতীয় দলে কামব্যাকের সুযোগ পাননি চেতেশ্বর পূজারা।
উল্লেখ্য, ভারতীয় দল✅ যখন রাজকোটের নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্ট খেলতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই রাজকোটের নেটে💝 চেতেশ্বর পূজার ব্যস্ত ছিলেন মণিপুরের বিরুদ্ধে রঞ্জির এলিট-এ গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার প্রস্তুতিতে। জিও সিনেমায় ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে পূজারাকে নিয়ে আলোচনায় কুম্বলে বলেন, ‘দলে এতজন সিনিয়র ক্রিকেটার নেই, ভেবেছিলাম নির্বাচকরা হয়তো পূজারাকে এই ম্যাচে দলে ফেরাবে। যদিও তেমন কিছু হয়নি।’
এমন আলোচনার মাঝেই এক অনুরাগী সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন করেন যে, পূজারাকে জাতীয় দলে ফেরার জন্য কী করতে হবে? জবাবে কুম্বলে বলেন, ‘যেটা করতে হবে, পূজারা ঠিক সেটাই করছে। ও ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করে ꧑চলেছে। অনেকে তো ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলছে না।’ কুম্বলের শেষ কথাটা ইশান কিষানের মতো ক্রিকেটারদের রঞ্জি থেকে সরে থাকার দিকে ইঙ্গিত করে কিনা, সেটা বলা মুশকিল। তবে আইপিএলের কথা মাথায় রেখে অনেক ক্রিকেটারই যে রঞ্জিতে মাঠে নামেননি, সেটা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন জাম্বো।
রজত পতিদারের উপর নির্বাচকরা আস্থা রাখলেও এখনও পর্যন্ত আগরকরদের আস্থার যথাযথ মর্যাদা রাখতে পারেননি তিনি। রাজকোটের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন পতিদার। এমন আবহে ফর্মে থাকা পূজারাকে দলে না ফেরানোর কারণ জানতে চাওয়া হলে কুম্বলের ইঙ্গিত, এক্ষেত্রে পূজারার জাতীয় দলে না ফেরার😼 একমাত্র কারণ হতে পারে তাঁর বয়স। নির্বাচকরা হয়তো, নতুন✤ কাউকে দেখে নিতে চাইছেন বলে পূজারার দিকে মুখ ফেরাচ্ছেন না। নাহলে রঞ্জিতে যে রকম পারফর্ম্যান্স উপহার দিচ্ছেন পূজারা, তাতে তাঁর সুযোগ না পাওয়ার অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন না কুম্বলে।
উল্লেখ্য, পূজারা চলতি রঞ্জ🅰ি ট্রফির ৬ ম্যাচের ১০টি ইনিংসে ব্যাট করে ৭৪.৭৭ গড়ে ৬৭৩ রান সংগ্রহ করেছেন। তিনি ২টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অপরাজিত ২৪৩ রানের।