চলতি সপ্তাহের শুরুতে এশিয়া কাপের সুপার ফোর থেকে ছিটকে গিয়েছে বাবর আজমের পাকিস্তান। এর পরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে ২২৮ রানের শোচনীয় পরাজয়ের মুখোমুখি হওয়ার পর থেকেই এই সমালোচনা শুরু হয়েছিল। পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে পরাজিত হয়। পাকিস্তানের এই হারের পিছনে ছিল চরিথ আসালঙ্কার বীরত্বপূর্ণ ইনিংস সঙ্গে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সমরাবিক্রমের দুরন্ত পার্টনারশিপ। বাবর আজমের দলের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে আনতে সফল হয় শ্রীলঙ🍷্কা। রান তাড়া করতে নেমে দারুণ ক্রিকেট খেলে তারা। এই পরাজয়ের পর, বাবর তাঁর অধিনায়কত্বের কয়েকটি সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে ড্রেসিংরুমের ফাটল নিয়ে গুজবও তৈরি হয়েছে।
যাইহোক, এবার বাবর আজমকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ হাফিজ। তিনি বাবরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। হাফিজ জোর দিয়ে বলেছেন যে প্রত্যেক অধিনায়কই প্রায়শই পরাজয়ের পরে সমালোচনার শিকার হন না। ভারতের বিরুদ্ধে দলের বড় পরাজয়ের কথা উল্লেඣখ করে, হাফিজ জোর দিয়ে বলেছিলেন যে ২২৮ রান (পরাজয়ের ব্যবধানে) করা বাবরের একার দায়িত্ব ছিল না, বা তিনি সে🅠ভাবে হার মেনে নেননি।
মহম্মদ হাফিজ বলেন, ‘২২৮ রান না তো একা ক্যাপ্টেনর পক্ষে✃ করাটা অসম্ভব। বাবর তো একা ২২৮ রানটা হজম করেননি। এই ব্যর্থতার জন্য দলের সমস্ত খেলোয়াড়রা দায়ী, ম্যানেজমেন্টও দায়ী। আমি একটি বিবৃতি শুনেছি য♋ে আমরা গত তিন মাসে একটি ম্যাচও হারিনি। আমি এটা বুঝতে পারছি না যে ৩ মাসের সাফল্য আপনাকে এটি খারাপভাবে ম্যাচ হারার লাইসেন্স দেয় না। আমি বুঝতে পারি যে এটা ব্যাথা দিচ্ছে কারণ আমরা ভারতের কাছে হেরেছি এবং এই হারের ব্যবধানটা ছিল বেশ বড়।’ হাফিজ আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রথম ম্যাচ যেটা পরিত্যক্ত হয়েছিল সেটাতে পাকিস্তান ভালো খেলে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় খেলায় আমাদের মানসিক অবস্থার ক্ষতি হয়েছিল। আর আমরা যেভাবে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছি, মানসিকভাবে আমরা সেখানে ছিলাম না। ভারতের বিরুদ্ধে হেরে আমরা এখনও কষ্ট পাচ্ছি।’
পাকিস্তান দলকে বিশ্বকাপের অভিযানের দিকে ফিরে যেতে হবে। ড্রেসিংরুমে তর্ক-বিতর্ক এবং তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের ইনজুরির মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে পাকিস্তান দলের মধ্যে অস্থিরতার শুরু হয়েছে। পাকিস্তান ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সময় অ💛্যাকশনে ফিরবে। তারা ৬ অক্টোবর থেকে টুর্নামেন্টে তাদের প্রচার শুরু করবে। 🌊দলটি প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে। এখন দেখার এই পাকিস্তান দল কীভাবে, কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে।