পাঁচ বছর পর আবার এশিয়া কাপ জিতল ভারত। ২০১৮ সালে রোহিত শর্মার নেতৃত্বেই জিতে🤪ছিল তারা। এ বারও তাঁর নেতৃত্বেই জিতল ভারত। যদিও রোহিতের সামনে এ বার আরও বড় লক্ষ্য। বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর মাত্র ১৮ দিন। ℱসেটাই এখন লক্ষ্য রোহিতের।
গত বছর রোহিত শর্মা জাতীয় দলের অধিনা🥃য়কের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম টিম ইন্ডিয়া তাদের প্রথম কোনও মাল্টি-নেশন টুর্নামেন্টে জিতল। ১৭সেপ্টেম্বর রবিবার কলম্বোতে এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে একেবারে খড়কুটোর মতোই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। মহম🍌্মদ সিরাজ একাই ৬ উইকেট নিয়ে ধস নামিয়েছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডারে। দাসুন শানাকারা মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়ে যায়। যা ওডিআই এশিয়া কাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোর। য়ে রান সহজেই তুলে শিরোপা জেতে ভারত।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ𝓀ের জন্য শ্রেয়সের পরিবর্ত খোঁজা উচিত- এনসিএ-কে একহাত নিলেন গম্ভীর
নিঃসন্দেহে এশিয়া কাপ একটি বড় টুর্নামেন্ট। এটি একেবারেই বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সাল নয়। আর ভারত এই শিরোপা জিতে পাঁচ বছর পর কোনও মাল্টি-নেশন টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের খরা কাটাল। রবিবার টিম ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলম্বোতে ভারতের জয়ের উদযাপনে আতশবাজি ফাটতে শুরু করে। ভারত জেতার অনেক পরেও সেই উচ্ছ্বাসের রেশ বজায় ছিল। এমন কী ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদি🍨ক সম্মেলনের সময়েও ভেসে আসছিল আতশবাজি ফাটার আওয়াজ।
রোহিতকে যখন প্রশ্ন ♏করা হচ্ছিল, অস্ট্রেলিয়া সিরিজ এবং তার পরে বিশ্বকাপ। তার আগে এশিয়া কাপের সময় দল কী ভাবে বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছে, এবং কোন কোন জায়গায় ভারতের একেবারে কোনও সমস্যা নেই? এই প্রশ্নের যখন জবাব দিচ্ছিলেন রোহিত, তখন হঠা🦋ৎই সজোরে আতশবাজির আওয়াজ শোনা যায়। যার জন্য রোহিতকে কয়েক সেকেন্ড চুপ করে যেতে হয়। আতশবাজি আওয়াজ থামার পরেই নিজের স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে রোহিত মজা করে বলেন, ‘আরে বিশ্বকাপ জেতার পর এই সব বাজি ফাটিও।’ এশিয়া কাপ জিতে রোহিতরা যে কতটা আত্মবিশ্বাসী, সেটা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট।
২০১৩ সালে ভারত শেষ বার আইসিসি ট্রফি জিতেছিল। তার পরে শুধুই খরা। ২০২৩ বিশ্বকাপ ভারতেই অনুষ্ঠিত হবে। যে টুর্নামেℱন্টে ভারতকে অন্যতম ফেভারিট মনে করা হচ্ছে। ১২ বছর আগে ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। সে বার শুধু ভারত নয়, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশও বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করেছিল। এবার ভারত একক ভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করতে চলেছে। তাই রোহিত শর্মা ব্রিগেড নিয়ে প্রত্যাশা সকলের একটু বেশিই। এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের পর রোহিত-কোহলিদের জন্য গোটা ভারতের আকাশ জুড়ে আতশবাজির রোশনাই দেখা যায় কিনা!