শুভব্রত মুখার্জি: চলতি এশিয়া কাপের ফাইনালে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ফলে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্যায়ে ভারতের শেষ ম্যাচটি ছিল তাদের কাছে নিয়মরক্ষার ম্যাচ। অন্যদিকে সুপার ফোর থেকে আগেই ছিটকে যাওয়া বাংলাদেশের কাছে লড়াইটা ছিল সম্মান রক্ষার লড়াই। সেই ম্যাচেই কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এক টানটান শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের সাক্ষী থাকল দর্শকরা। দিনের শেষে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতল মাত্র ছয় রানে। ম্যাচে ভারতের হয𓆏়ে ব্যাট হাতে প্রায় একাই লড়াই চালালেন তরুণ তারকা শুভমন গিল। তিনি করলেন অনবদ্য একটি শতরান। তারপরেও ভারতকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে ব্যর্থ হলেন ভারতের এই ওপেনার ব্যাটার। তবে ম্যাচ জেতাতে না পারলেও, এই রানের মধ্যে দিয়෴েই তিনি কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরের নজির স্পর্শ করে ফেললেন।
এশিয়া কাপে শুক্রবার ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় জয় পায় বাংলাদেশ দল।এই ম্যাচে শতরান করেও পরাজিত দলের সদস্য হয়ে থাকতে হল গিলকে। তবে গিল কিন্তু প্রথম ব্যাটার নন যার কপাল এতটাই মন্দ। প্রসঙ্গত ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ তাদের প্রথম জয় পেয়েছিল ২০১২ সালে। সেই ম্যাচে ভারতের হয়ে শতরান করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। যেটি ঘটনাচক্রে ছিল তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের শততম 𒊎শতরান। সেই ম্যাচেও হারতে হয়েছিল ভারতকে। আর এদিন গিল শতরান করার পরেও হারতে হল ভারতকে।
এদিন🌠 প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল আট উইকেটে ২৬৫ রান করতে সমর্থ হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। এছাড়াও তৌহিদ হৃদয় ৫৪ এবং নাসুম আহমেদ ৪৪ রান করে দলকে লড়াকু স্কোর এনে দেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত ২৫৯ রানেই অলআউট হয়ে যায়। এদিন ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপে একমাত্র শুভমন গিল, অক্ষর প্যাটেল এবং সূর্যকুমার যাদব ছাড়া আর বলার মতন রান পাননি কেউ। অক্ষর প্যাটেল ৪২ রান করে আউট হন। সূর্যকুমার করেন ২৬ রান। আর অন্যদিকে ১৩৩ বল খেলে ১২১ রানের একটি লড়াকু ইনিংস উপহার দেন শুভমন গিল। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৮টি চার এবং পাঁচটি ছয় দিয়ে। গিলের ইনিংসে ভর করেই মূলত ভারত ম্যাচটা শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতকে ৬ রানে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ।