পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০২৩ এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচ রয়েছে রবিবার। অথচ তার আগে ভারতের শীর্ষ ব্যাটসম্যান বিরাট ক🍸োহলি, রোহিত শর্মা এবং শ্রেয়স আইয়ার সহ হার্দিক পান্ডিয়াও অনুশীলনে আসেননি। যদিও ঐচ্ছিক অনুশীলন সেশন ছিল। তবু আগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রোহিত, কোহলি, শ্রেয়সরা যে ভাবে ল্যাজেগোবরে হয়েছেন, তার পরে কী করে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন মিস করেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এশিয়া কাপের আগে শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল এবং জসপ্রীত বুমরাহের প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে ভারতীয় দল বড় শক্তি পেয়েছিল ঠিকই, তবে খেলায় সেই প্রভাব দেখা যায়নি। অবশ্য এই তিন জনের মধ্যে শুধুমাত্র শ্রেয়স আইয়ারই খেলার সময় পেয়েছেন। বুমরাহ পাকিস্তান ম্যাচে দলে থাকলেও, বল করার সুযোগ পাননি। তবে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু রান করেছিলেন। রাহুল আবার সুপার ফোরের আগেই দলে যোগ দিয়েছেন। যেহেতু ওডিআই বিশ্♓বকাপের আর বেশি দিন বাকি নেই, তাই টিম ইন্ডিয়া আশা করবে, এশিয়া কাপ এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আসন্ন গেমগুলিতে এই প্রত্যাবর্তনকারী তারকাদের বেশি করে খেলানোর।
ঐচ্ছিক টি🎐ম ইন্ডিয়ার নেট সেশন সম্পর্কে আরও জানিয়েছেন সাংবাদিক জি এস বিবেক। তাঁর দাবি, ওপেনার শুভমন গিলের সঙ্গে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ইশান কিষান এবং কেএল রাহুলকে নেটে দেখা গিয়েছে। মাত্র ৭ জন প্লেয়ার ঐচ্ছিক অনুশীনে এসেছিলেন। রবীন্দ্র জাদেজাকে ২০ মিনিট ব্যাটিং অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছিল। এবং তার পরে ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথোপকথন করতে দেখা গিয়েছে। মহম্মদ সিরাজকেও এদিন নেটে বেশ কিছুক্ষণ ব্যাট হাতে দেখা গিয়েছে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ইশান কিষান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। কারণ তিনি দলে চাপের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ৮২ রান করেছিলেন। এবং মেন ইন ব্লু-কে উদ্ধার করতে ইশানকে সঙ্গত করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। দু'জনের পার্টনারশিপের হাত ꧃ধরেই ভারত তাও ভদ্রস্থ স্কোরের মুখ দেখেছিল।
কেএল রাহুল এবং জসপ্রীত বুমরাহ- দুই খেলোয়াড়ই গত কয়েক দিনে ভারতীয় শিবিরে পুনরায় যোগ দিয়েছেন। বুমরাহ ৮ সেপ্টেম্বর তাঁর ছেলের জন্মের পর শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসেন। রাহুল, যিনি এনসিএ-তে সমস্যায় ভুগছিলেন, ৫ সেপ্টে𓃲ম্বর শ্রীলঙ্কা সফর করেন এবং তার পর থেকে অনুশীলনে ভালো ফর্ম রয়েছেন। ৮ সেপ্টেম্বর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে একটি রাতের অনুশীলন সেশনে কর্ণাটক তারকা দীর্ঘ উইকেটকিপিং সেশনও করেছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, সিনিয়ররা যেভাবে পাকিস্তানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে অনুশীলনে এলেন না, সেটা যতই ঐচ্ছিক অনুশীলন হোক না কেন, সেটা কি খুব একটা ভালো বার্তা বহন করে?