বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শু꧙রু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম ম্যাচে ক্লোজ লড়াইয়ের সাক্ষী ছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। দুই দলের বোলারদের পারফরম্যান্স চমৎকার হলেও শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২২৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটা সময়ে বাজে অবস্থায় ছিল অস্ট্রেলিয়া দল। ১১৩ রানে ৭ জন খেলোয়াড় ফিরেছিলেন প্যাভিলিয়নে। ক্যামেরন গ্রিনের কানের ওপরে বল লাগায় তিনি চোট পেয়ে অবসর নেন। তাঁর কনকাশন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামলেন মার্নাস ল্যাবুশান। কনকাশন বিকল্প 🔯হিসাবে মাঠে নেমে দুরন্ত একটি ইনিংস খেললেন। তিনি অপরাজিত ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসই খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার চোয়াল থেকে জয় ছিনিয়ে আনলেন।
অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন তাঁর ইনিংসের দ্বিতীয় বলে চোট পান। তিনি ততক্ষণে মাত্র একটি মাত্র বল খেলেছিলেন। কাগিসো রাবাদার বাউন্সারে আহত হন তিনি। এবং ফিজিও তাঁকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। কনকাশন নিয়ম অনুযায়ী, বলটি গ্রিনের মাথার উপরে লেগেছিল, সেই কারণে তার জায়গায় একজন অতিরিক্ত খেলোয়াড়কে ব্যাট করার সুযোগ দেওয়া হয়। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে মার্নাস ল্যাবুশান কনকাশন বিকল্প হিসাবে মাঠে নামেন ও ইনিংসের দায়িত্ব নেন। সেই সময়ে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৯৩ রানে তাদের ৬ উইকেট হারিয়েছিল। এখান থেকে প্রথম সপ্তম উইকেটে ক্যারির সঙ্গে ২০ রান যোগ করেন ল্যাবুশান। এরপর অষ্টম উইকেটে অ্যাস্টন এগরের সঙ্গে তাঁর ১১২ রানཧের অপরাজিত জুটি গড়েন এবং ম্যাচটিকে জিতে মাঠ ছাড়েন। এইভাবে, গ্রিনের চোটের ফলে মাঠে নামেন মার্নাস ল্যাবুশান এবং হারা ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও কনক🀅াশন হিসাবে মাঠে নেমে বড় ইনিংস খেলেছিলেন মার্নাস ল্যাবুশান।
দেখে নিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কনকশন সাবের দ্বারা করা সর্বোচ্চ স্কোর:
৮✅০* - মার্নাস ল্যাবুশান অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০২🍨৩
৫৯ - মার্নাস ল্যাবুশান অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড, 🎀২০১৯
৫০* - মহম্মদ রিজওয়ান পাকিস্তান বনাম শ্রী♛লঙ্কা, ২০২৩
এই ম্যাচের কথা বললে, টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পুরো দল ৪৯ ওভারে ২২২ রানের মধ্যেই গুটিয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটাও ভালো ছিল না। কিন্তু ওপেনিং থেকে শেষ পর্যন্ত একপ্রান্তে থেকে যান আফ্রিকান অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। তিনি অপরাজিত ১১৪ রান করেন এবং দলকে ২২২🦩 রানে পৌঁছাতে সাহায্য করেন। তিনি ছাড়াও মার্কো জানসেন ৩২ রান করেন। এছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যান ২০-এর অঙ্কও স্পর্শ করতে পারেননি। ২৭তম ওডিআইয়ের ২৬তম ইনিংসে এটি বাভুমার পঞ্চম সেঞ্চুরি।
২২৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা খারাপ হয় এবং প্রথম ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নার শূন্য রানে আউট হন। ক্যাপ্টেন মিচেল মার্শকে ভালো খেলছিলেন কিন্তু তিনিꦐ ১৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। ক্যামেরন গ্রিন চোট পান। এরপর জোশ ইংলিস ১ রান এবং অ্যালেক্স ক্যারি ৩ রান করে আউট হয়ে দলকে হতাশ করেন। ট্র্যাভিস হেডও ভালো ফর্মে ছিলেন তবে তিনি এদিন ৩৩ রান করে আউট হন। এরপর ১০ বলে ১৭ রান করে আউট হন মার্কাস স্টইনিস। কিন্তু শীঘ্রই অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৭ উইকেটে ১১৩ রান হয়ে যায়। এরপর মাঠে নামেন মার্নাস ল্যাবুশান। অ্যাস্টন এগরকে নিয়ে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত দলকে ৩ উইকেটে𓆉 জয়ের পথ দেখান মার্নাস। এগরও অপরাজিত ৪৮ রান করে ল্যাবুশানকে সাহায্য করেন। এখন ৯ সেপ্টেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই ল্যাবুশানকেই আসন্ন বিশ্বকাপের দলে রাখেনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। এখন দেখার তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলায় কিনা।