এই মরশুমে রঞ্জি ট্রফিতে ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পুদুচেরির কাছে ৯ উইকেটে বাজে ভাবে হেরে গিয়েছে দিল্লি। আর সেই হা🧸রের খাঁড়া নেমে এসেছে দিল্লির অধিনায়ক যশ ধুলের উপর। ম্যাচ হারের কয়েক ঘন্টার মধ্যে যশ ধুলকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে দিল্লি। হিম্মত সিংকে রঞ্জি ট্রফির বাকি মরশুমের জন্য তাদের অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়েছে। ১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকেই নেতৃত্ব দেবেন হিম্মত।
তবে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, দি꧅ল্লি কেনই বা তরুণ যশ ধুলের কাঁধে দুম করে নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল? ৮ জানুয়ারি সোমবার অ𝄹রুণ জেটলি স্টেডিয়ামে এলিট পর্বের গ্রুপ ‘ডি’র ম্যাচে দিল্লিকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে পুদুচেরি। ধুল নিজে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ২ এবং ২৩ রান করেছেন। আর দিল্লি এই ম্যাচে নিজেদের দুই ইনিংসে একবারও ১৫০ রানও করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ঋদ্🍎ধির জৌলুসে জিতল ত্রিপুরা, পূজারার দ্বিশতরানে তিন পয়েন্ট সৌরাষ্ট্রের, জাতীয় দলে ক𒐪ি ফের ডাক আসবে
দিল্লি জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক রাজন মানচন্দ বলেছেন যে, যুব ব্যাটার যাতে নিজের ফর্ম ফিরে পান, তাতে সাহায্য করার জন্য যশ ধুলকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয়েছে। পিটিআই-কে রাজন মানচন্দ বলেছেন, ‘যশ একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়। কিন্তু ফর্মে নেই ও। আমরা চেয়েছিলাম, ও একজন ব্যাটার হিসেবে ভালো করুক, তাই আমরা ওকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। হিম্মত আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড় এবং আমাদের জন্য খুব ভালো করেছে। ও এ💖বার দিল্লিকে নেতৃত্ব দেবে।’
আরও পড়ুন: দুই ইনিংস মিল🌠িয়েও মুম্বইয়ের রান ছুঁতে পারল না বিহার, ঘরের মাঠে পুদুচেরির কাছে লজ্জার হার দিল্লির
২১ বছর বয়সী যশ ধুলকে 𓆏২০২🌟২ সালে অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়। যেটা নিঃসন্দেহে দিল্লির ক্রিকেট কর্তারা একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দিল্লির হয়ে তিনি ১৭টি প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন এবং ৪৩.৮৮ গড়ে ১১৮৫ রান করেছেন। অপরাজিত ২০০ সহ তাঁর ৪টি সেঞ্চুরিও রয়েছে।
তবে, যশ ধুল সাম্প্রতিক অতীতে নিজের ফর্মের সঙ্গে লড়াই করছেন। বিজয় হাজারে ট্রফিতে দিল্লির এই তারকা ৭ ম্যাচ খেলে ফেললেও, একটিও হাফসেঞ্চু𝓀রি করতে পারেননি। যশ ধুল এ🍸ই মরশুমের শুরুতে ঘরোয়া ৫০-ওভারের টুর্নামেন্ট, ঘরোয়া ২০-ওভারের টুর্নামেন্ট এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে দিল্লি ১৪৮ করেছিল। পুদুচেরি তা💫দের প্রথম ইনিংসে অবশ্য ২৪৪ রান করে ৯৬ রানের লিড পায়। দিল্লির ব্যাটাররা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসেও হতাশ করেন। তারা মাত্র ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। এতে পুদুচেরির জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৪৯ রান। ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় তারা।