হার্দিক পান্ডিয়া শেষ বার ভারতের হয়ে ২০২ಌ৩ আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচটি খেলেছিলেন। যে ম্যাচটি ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ম্যাচেই বল করতে গিয়ে তাঁর চোট লাগে। এবং তিনি পুরো ওভার শেষ না করেই মাঠ ছেড়েছিলেন। তার পর থেকে আর ২২ গজে ফেরা হয়নি হার্দিকের। বিশ্বকাপেও আর তিনি খেলতে পারেননি।
ভারত দাপটের সঙ্গে টানা দশ ম্যাচ জিতে ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও, শিরোপা জেতা হয়নি। এখন তাদের পুরো ফোকাস হল ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যে টুর্নামেন্টটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ২০২৬ সালে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। সেই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই, বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (BCCI) এবং জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ( এনসিএ) কোনও ভাবেই তাড়াহুড়ো করে চোট পাওয়া হার্দিককে ২২ গজে ফেরাতে রাজি নয়। বরং তারা পুরোপুরি ফি🍨ট করে, তবেই তারকা অলরাউন্ডারকে মাঠে ফেরাতে চায়।
৩০ বছর বয়সী তারকাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজে বা পরবর্তীতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ঘরের ম♕াঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্🔯য দলে নেওয়া যেতেও পারত। কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তারা বরং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখেই পান্ডিয়াকে দ্বিপাক্ষিক ম্যাচের বাইরে রাখছে।
আরও পড়ুন: শেষ ওভারে বল করতে আসার🦩 আগে সূর্যের পরামর্শই চাপ গায়েব করে দিয়েছিল- দাবি আর্শদীপের
একটি সূত্রের দাবি, ‘আমরা ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কথ বলেছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসাবে তাঁর যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে কি? নেই। আমাদের বরং যা প্রয়োজন, সেটা হল, দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য স্থির করা এবং ওঁকে পুরো ফিট করে মাঠে ফেরানোটা🐈 নিশ্চিত করা।’
বিশ্বক⛎াপের শেষের দিকে হার্দিককে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।💮 এবং এর পরেই এনসিএ এবং বিসিসিআই হার্দিকের জনিয তাড়াহুড়ো না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং বেশি সময় লাগলেও, তাঁকো পুরো ফুট করে মাঠে ফেরানোটাই তাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়।
সেই সূত্র যোগ করেছেন, ‘প্রথমে পরিষ্কার করে দিচ্ছি, পান্ডিয়ার আগের চোটের (পিঠের) থেকে এটি অর্থাৎ বাংলাদেশ ম্যাচে যে ইনজুরি হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ আলাদা। দু'টির মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই এবং এটা 🉐বলাটা অন্যায় হবে যে, তিনি বিশ্বকাপের জন্য সেরা ফর্মে ছিলেন না, বা তিনি ইনজুরি প্রবণ। পিঠের চোট সারিয়ে꧂ তিনি সফল ভাবে প্রত্যাবর্তন করেন। তার পর দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেনষ এবং এটি (বাংলদেশ ম্যাচে চোট) একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ছিল।’
১৮ সপ্তাহের হাই-পারফরম্যান্স প্রোগ্রামটি তাঁর জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। যেটা হার্দিক পান্ডিয়া এখন অনুসর🎀ণ করছেন। এনসিএ একটি রুটিন 💝তৈরি করে দিয়েছে। মার্চ পর্যন্ত প্রতিটি দিনের রুটিন একটি লক্ষ্য ঠিক করে তৈরি করা হয়েছে। আর এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ বা মনিটর করা হবে, তাঁর শরীরের প্রতিক্রিয়াগুলি। কার্ডিও, স্ট্রেন্থ ট্রেনিং, ফাংশনাল ট্রেনিং, বিশ্রাম এবং রিকভারি- সবকিছুই রুটিন অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে।
জসপ্রীত বুমরাহ, শ্রেয়স আইয়ার এবং কেএল রাহুলের মতো খꦑেলোয়াড়রা চোট থেকে বাদ পড়ার পর, ফের ২২ গজে ফেরার আগে, ব্যক্তিগত এই ধরনের প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। এবং এটি একটি পন্থা, যা এনসিএ দীর্ঘমেয়াদী সময়ে প্লেয়ারদের ফিট করার ক্ষেত্❀রে ব্যবহার করে চলেছে।
সেই সূত্রের তরফের দাবি করা হয়েছে। ‘এটা নতুন কিছু নয়। শ্রেয়স, বুমরাহ এবং কেএল তাদের দীর্ঘ চোটেক সময়ে অনুরূপ প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন এবং পরবর্তী অ্য🍒াসাইনমেন্টগুলি মাথায় র🃏েখে রুটিনটি তৈরি করা হয়েছে। ’
হার্দিক পান্ডিয়া আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিনটি 🀅টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলতে পারতেন। কিন্তু এর পরে ফিটনেসের গুরুত্বের থেকে হার্দিকেক দক্ষতার দিকে পুরো ফোকাস ঘুরে যেত। তাই তাঁকে দলে রাখা হয়নি।𒈔 বর্তমান প্রোগ্রামটির মাধ্যমে ফিটনেসের মানের উপরেই পুরো ফোকাস নিবদ্ধ করা রয়েছে।