জমে উঠেছে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ। পরিস্থিতি এই মুহূর্তে এমন যে বলা যাচ্ছে না কার ঝুলিতে উঠবে এই ম্যাচ। খেলা যে পঞ্চম দিন অবধি গড়াবে 𝔍তা কার্যত স্পষ্ট। এখনও পর্যন্ত দুই দলই নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। একদিকে যেমন ইংল্যান্ডের প্রধান লক্ষ্য ম্যাচ জিতে সিরিজের সমতা ফেরানো, তেমনি অন্যদিকে টিম ইন্ডিয়া চাইবে চতুর্থ টেস্ট জিতে সিরিজ পাক⛄াপাকিভাবে নিজেদের পকেটে তোলার।
তবে চলতি টেস্টে সৃষ্টি হলো একটি নজিরবিহীন রেকর্ড। ক্রিকেটের ইতিহাসে, এর আগে বহু টেস্ট সিরিজ হয়েছে যেখানে ছয়ের বন্যা বয়েছে। এমনকী অনেক সিরিজে ৫০টির বেশিও ছক্কা হাকানো হয়েছে দুই দল মিলিয়ে। কিন🍬্তু রাঁচি টেস্ট ভেঙে দিল সেই সব রেকর্ড। এখনও পর্যন্ত এই সিরিজে দুই দল মিলিয়ে মারা হয়েছে ৭৫টি ছয়। এর আগে শীর্ষে ছিল ২০২৩ সালের ইংল্যান্ড ব⛎নাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। সেই সিরিজে হাকানো হয়েছিল ৭৪টি ছয়।
শনিবার, অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি ছিল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলা। ৭ উইকেটে ৩০২ রান নিয়ে খেলতে নামেন ওলি রবিনসন ও জো রুট। তবে এদিন বেশিক্ষণ তাঁরা টিকে থাকতে পারেননি। আরও ৫১ রান যোগ করে সকলেই ফিরে যায় প্যাভিলিয়নে। অর্থাৎ ৩৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। এরপর ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা লাগে টিম ইন্ডিয়ার। দুই রান করে প্যাভিলিয়নের ফিরে যান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপর শুভমন গি🦄ল ও যশস্বী জসওয়ালের পার্টনারশিপের সাহায্যে ম্যাচে কামব্যাক করতে সফল হয় 'মেন ইন ব্লু'। তবে মাঝে উইকেট হারানোতে স্কোর গিয়ে দাঁড়༒ায় ৭ উইকেটে ১৭৭। যদিও কুলদীপ যাদবকে নিয়ে ধ্রুব জুড়েল পার্টনারশিপ গড়ে কোনও রকমে টিকে থাকে এবং অবশেষে একটি সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে আসে টিম ইন্ডিয়াকে তৃতীয় দিনের শুরুতে।
তবে এদিনও ব্যাট হাতে মারমুখী রূপ দেখা যায় ভারতীয় ব্যাটারদের। কিন্তু এই মারমুখী ইনিংসের সাহায্যেই গড়ে ওঠে একটি নতুন রেকর্ড। পুরো সিরিজ মিলিয়ে এই পর্যন্ত হাকানো হয়েছে ৭৫টি ছয়, যা এই মুহূর্তে সর্বকালের সেরা। এর আগে ২০২৩ সালের ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজে দুই দল মিলিয়ে ছয় মেরেছিল ৭৪টি। এবার সেই রেকর্ড ভাঙতে সফল হলো এই সিরিজ। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ২০১৩-১৩ মরশুমে অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড সিরিজ। সেই সিরিজে ৬৫টি ছয় হয়। পাশাপাশি চতুর্থ স্থানে রয়েছে ২০১৯ সালে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। সেখানেও ৬৫ টি ওভার বাউন্ডারি হয়। ২০১৪ সালে পাকিস্তান বনাম নিউ𒀰জিল্যান্ড ৫৯টি ওভার বাউন্ডারি হয়।
এই রেকর্ডটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্রিকেটপ্রেমীরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন। অনেকেই দাবি করেন যে একশোর বেশি ছয় হবে☂ এই সিরিজে। এছাড়া অনেকে এটাও দাবি করেছেন যে টেস্ট ক্রিকেট ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে বলেই এই রেকর্ডগুলি গড়তে সুবিধা হচ্ছে। সব মিলিয়ে আশাবাদী আরও ওভার বাউন্ডারি দেখা যাবে গোটা সিরিজ জুড়ে।