বৃহস্পতিবার গায়ানায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। দু'বছর আগে ২০ ওভারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে ১০ উইকেটে লজ্জাজনক ভাবে হেরে ছিটকে যাওয়ার ক্ষততে কিছুটা হলেও মলম লাগাল টিম ইন্ডিয়া।
বৃহস্পতি🐽বার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের সামনে ১৭২ রানের লক্ষ্য রাখে ভারত। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় রোহিত শর্মা ব্রিগেড। অক্ষর প্যাটেল এবং কুলদীপ যাদবের স্পিন জুটির কাছে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করে ইংল্যান্ড। দুই স্পিনারই এদিন তিনটি করে উইকেট নিয়🌞েছেন।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো- মুখ চুন করে বসেছিলেন কোহলি, এল দ্রাবিড়ের সান্ত্বনার হাত, চ☂োখ ভিজল নেটপাড়া꧂র
অক্ষরের আগুনে পারফরম্যান্স
এদিন ৭.১ ওভারে ৪৬ রানের মধ্যে ইংল্যান্ড যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল, তার মধ্যে ৩টি উইকেটই তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। তিনি জস বাটলার, মইন আলি এবং জনি বেয়ারস্টোর মতো তারকাদের আউট করে, ভারতের হাতে ম্যাচের রাশ এনে দেন। পাওয়ার প্লেতে অক্ষর প্যাটেলকে বল দেওয়ার সিদ্ধান্তটি রোহিত শর্মার মাস্টারস্ট্রোক হয়ে যায়। এদিন চার ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন অক্ষর। কুলদীপ আবার চার ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তবে অক্ষর শুরুতে যেভা𓂃বে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর ভেঙে দিয়েছিল, তাতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল বাটলার ব্রিগেড। যে কারণে অক্ষরকে ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত করা হয়।
আরও পড়ুন: অতীতে T20 World Cup-এর সেমি মানেই বাধা ছিল হাফসেঞ্চুরি, প্রথম বার মাত্র ৯෴ করে ফিরলেন কোহলি
সাফল্যের রহস্য ফাঁস
ম্যাচের সেরা পুরস্কার নিতে এসে অক্ষর উল্লেখ করেছেন যে, পাওয়ার প্লে-তে বল করার আগের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি বলেছেন, ‘আমি অতীতে পাওয়ারপ্লে-তে বোলিং করেছি। তাই আমাকে পাওয়ারপ্লে-তে বল করতে দেওয়া হয়েছিল, আর এটাই ছিল পরিকল্পনা। উইকেটে বলে থেমে থেমে এবং কিছুটা নীচু হয়ে আসছিল, তাই সঠিক জায়গায় বল করার চেষ্টা করেছি। উইকেট মন্থর হয়ে পড়েছিল। যে কারণে আমি সবটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। এই ম্যাচে কিছুটা গতি কম🍌িয়ে বল করেছি। যদি আমি দ্রুত বল করতাম, তাহলে🗹 প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য বল মারাটা সহজ হত।’
ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়ে অভিভূত
শনিবার বার্বাডোজে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারত মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অক্ষর অবশ্য বলে দিয়েছেন যে, তিনি এই মুহুর্তে ফাইনালের কথা ভাবছেন না। প্রথম বার ম্যাচের সেরা হয়েছেন, সেই পুরস্কারটি আপাতত উপভোগ করতে চান। তাঁর দাবি, ‘দলের ব্যাটসম্যানরা আমাদের বলেছিল যে, উইকেটটি সহজ নয়। তাই আমাদের মতে, ১৬০ একটি ভালো টোটাল ছিল। ওই পার্টনারশিপ (রোহিত এবং স্কাই-এর মধ্যে) দুর্দান্ত ছিল, ওরা মাঝে মাঝে বাউন্ডারি মার🎶ছিল এবং স্ট্রাইক রোটেট করছিল। যাইহোক আপাতত বার্বাডোজের কথা চিন্তা করছি না। এখন আমি আমার প্রথম এই প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার উদযাপন করব।’