শুভব্রত মুখার্জি:- বছর দুই আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে টেস্ট সিরিজ হেরে এসেছিল ইংল্যান্ড দল। সেই সিরিজ হারার পর অধিনায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তৎকালীন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। এরপর দলের অধিনায়ক হন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। পরবর্তীতে একেবারে ভোলবদল হয়ে যায় ইংল্যান্ড দলের। ভয়ডরহীনভাবে এক নয়া ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলা শুরু করে তারা। হেড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে জুটি বেঁধে বেন স্টোকস এবং ইংল্যান্ড দল নয়া ব্যাজবল স্ট্র্যাটেজির ক্রিকেট খেলে তাক লাগিয়ে দেয় সকলকে। বর্তমানে বেন স্টোকস টেস্ট সিরিজের লড়াই করতে রয়েছেন ভারতে। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজে ইংল্যান্ড এগিয়ে রয়েছে ১-০ ফলে। এম🐎ন অবস্থায় বিশাখাপত্তনমে দ্বিতীয় টেস্টে নামার আগে নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে এক অজানা কাহিনি শুনিয়েছেন বেন স্টোকস। তিনি জানিয়েছেন টেস্টে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব যখন তাঁর কাছে আসে তখন আর না করতে পারেননি তিনি।
জিও সিনেমায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেন স্টোকস জানিয়েছেন, ‘কোনদিন অধিনায়ক হব বা অধিনায়কত্ব করব এমন কোন বাসনা আমার আলাদা করে ছিল না। কোনদিন ভাবিওনি যে আমি এই জায়গায় পৌঁছাতে পারব। সত্যি বলতে এর আগে আমি কখনও খুব বেশি দায়িত্বভার নিয়ে খেলিনি। অধিনায়কত্বের চাপের বিষয়টি আগে কোনদিন সেইভাবে অনুভবও করিনি। কোনদিন কোনস্তরের ক্রিক🐲েটেই আমি অধিনায়কত্ব করিনি। ডারহ্যাম অ্যাকাডেমিতে যখন ছিলাম তখন একবার অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ আমার হয়েছিল। এরপর হঠাৎ করেই আমার সামনে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ এসে যায়। এটা এমন একটা সুযোগ যা আমার কাছে আসার পরে আমি আর না বলতে পারিনি। এই𝔍 রোলের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে আমারও উত্তরণ ঘটছে। এই দায়িত্বটা আমি বরাবর উপভোগ করেছি।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আমি জানি অধিনায়কত্বের কাজ সহজ নয়। এর সঙ্গে একাধিক চ্যালেঞ্জ জড়িত রয়েছে। তবে যে ধরনের চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন আমি সবসমꦕয়ে প্রস্তুত রয়েছি। মাঠ হোক কিংবা মাঠের বাইরে আমি সবসমღয়ে এই বিষয়ে প্রস্তুত। বিভিন্ন ধরনের মানুষ এবং তাদের মানসিকতাকে নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। এটা দলগত একটা খেলা। যেখানে এক একজন মানুষ অন্যজনের থেকে নিঃসন্দেহে আলাদ হবেন। এটাই প্রত্যাশিত। তাদের সঙ্গে মেশা, তাদের সেরাটা বের করে আনাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। আর এটা আমাকে একজন মানুষ হিসেবে পরিপক্ক হতে সাহায্য করেছে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতেও পথ দেখিয়েছে।’
এরপর ব্যাজবল স্ট্র্যাটেজি নিয়ে ও কথা বলেন স্টোকস। তিনি বলেন, ‘এই টার্মটা (ব্যাজবল) আপনাদের মিডিয়ার দেওয়া। আমরা কিন্তু সবসময়েই এর থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ💜্টা করি। এই কথাটা অবশ্য এসেছে গত দুই বছরে আমাদের পারফরম্যান্সের পরে। কিভাবে আমরা খেলেছি? কতটা মাথা ঠান্ডা রেখে আমরা খেলেছি? কতটা ধারাবাহিক আমরা খেলেছি তা দেখার পরেই এই নামটা আমাদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আমি বা ব্রেন্ডন কেউ এই টার্মটা (ব্যাজবল) পছন্দ করি না। তবে বলতে চাই টেস্ট ক্রিকেটটা ইংল্যান্ড এইভাবেই খেলবে।’