ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ একেবারে দাপটের সঙ্গে নিজের ঝুলিতে তুলে নিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। সিরিজ শেষে ফলাফল দাঁড়ায় ৪-১। হায়দরাবাদে প্রথম টꦬেস্ট জেতার পর, বাকি চারটিতে জয় পায় রোহিত শর্মা বাহিনী। সৌজন্যে তরুণ ক্রিকেটারদের সাহসী ব্যাটিং এবং বোলারদের আক্রমনাত্মক বোলিং। সবমিলিয়ে, একটি নিখুঁত টিম গেমের উদাহরণ তুলে ধরতে সফল হয় মেন ইন ব্লু। পাশাপাশি, সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় বেন স্টোকসদের ব্যাজবল ক্রিকেট।
তবে এবার ব্যাজবল ক্রিকেট নিয়ে নিজের🦋 অবস্থান প্রকাশ্যে আনলেন ভারতের তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি দাবি করলেন যে ব্যাজবল শুধুমাত্র আগ্রাসী ক্রিকেট নয়, এটি একটি আক্রমনাত্🎃মক ক্রিকেট। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও জানালেন যে তিনি রীতিমত চমকে গিয়েছেন এটা দেখে যে জো রুটের মতো বুদ্ধিমান ব্যাটাররাও এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, 'দেখুন প্রথম টেস্টের পর আমি যেটা বুঝতে পেরেছি সেটা হল যে এই ব্যাজবল ক্রিকেট শু💜ধুমাত্র আগ্রাসী ক্রিকেটই নয়, এটি আক্রমণাত্মক ক্রিকেটও বটে। এর মানে যে ওরা কোনও রকমে ডিফেন্সিভ খেলবে না। ওভাবে খেললেই ওরা আউট হয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার আমি এটা দেখে অবাক হলাম যে কী করে জো রুটের মতো বুদ্ধিমান ব্যাটার এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। কারণ আপনি যদি ঠিক করে তালিকাটা দেখেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে স্পিনের বিরুদ্ধে এক নম্বর ব্যাটার এই মুহূর্তে রুট।'
এরপর অশ্বিন ইংল্যান্ডের তারকা পেসার জেমস অ্যান্ডরসনের ৬০০ রান তা🐭ড়া করার মন্তব্যের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'জেমস অ্যান্ডরসন প্রথম টেস্টে জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টের আগে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হন༒ এবং দাবি করেন যে ৬০০ রান তারা করতে হলেও দল তা ৬০ ওভারে তুলে দেবে। যদিও এটা ইংল্যান্ডের সাহসী মানসিকতার একটা উদাহরণ, তবে আমি মনে করি যে ওরা বেশি বলে ফেলেছে।'
উল্লেখ্য, পঞ্চম টেস্টে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। তাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২১৮ রানে। ভারতের বোলারদের মধ্যে পাঁচটি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। জবাবে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৭৭ রানে।🎃 শতরান হাকান রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল। অর্ধশতরান আসে যশস্বী জসওয়াল, সরফরাজ খান ও দেবদূত পাডিক্কালের ব্যাট থেকে। ইংল্যান্ডের হয়ে ফাইফার নেন শোয়েব বশির। এরপর ভারতের করা ২৫৯ রানের লিড টপকাতে নেমে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ১৯৫ রানে। জো রুট ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই দাগ কাটতে পারেননি। তবে🍸 এবার ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ফাইফার নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় কুলদীপ যাদবকে এবং সিরিজ সেরা হন যশস্বী জসওয়াল।