এক অনন্য নজির গড়ে ফেললেন তিলক বর্মা। ছক্কা হাঁকিয়ে গুঁড়িয়ে দিলেন রোহিত শর্মার রেকর্ড। ভারতের ২০ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী পুরুষ ক্রিকেটারদের মধ্যে ꦏটি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর নতুন নজির গড়ে ফেললেন তিলক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতীয় প্লেয়ারদের মধ্যে তিলক একমাত্র কিছুটা ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। এই সিরিজেই জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর অভিষেক হয়েছিল। আর অভিষেকেই নজর কাড়েন তিলক। তিনি পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মোট ৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। যেটা ২০ বা তার চেয়ে কম বয়সী পুরুষ ক্রিকেটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি 🉐ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড। এই রেকর্ড এতদিন ছিল রোহ𝓰িত শর্মার দখলে। তিনি ২০ বছরের মধ্যে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। রবিবার উইন্ডিজের বিরুদ্ধে পঞ্চম তথা শেষ টি-টোয়েন্টিতে তিলক দু'টি ছক্কা হাঁকিয়ে রোহিতকে টপকে যান।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হার্দিক। তবে শন🌟িবারের বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি রবিবার ১৭ রানের মধ্যেই ফিরে যায় প্যাভিলিয়নে। প্রথম ওভারেই আউট হন যশস্বী জয়সওয়াল (৫)। দ্বিতীয় বলে চার ম﷽েরে শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু চতুর্থ বলে আকিল হোসেনকে মারতে গিয়ে তাঁর হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। শুভমন গিলের (৯) আউট নিয়ে অবশ্য বিতর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: লজ্জায় ডুবলেন হার্দিকরা, T20-র 🌜ইতিহাসে প্রথম বার সিরিজের তিনটি ম্যা💝চে হারল ভারত
একমাত্র প্রতিরোধ গড়তে লড়াই করেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁকে কিছুটা সঙ্গত দেন তিলক বর্মা। দুই ব্যাটারের দাপটে ভারত কিছুটা ভরসা পেয়েছিল। সূর্যের থেকে বেশি মারমুখী ছিলেন তিলকই। কিন্তু তিনি ১৮ বলে ২৭ করে সাজঘরে ফেরেন। তিনে নেমে সূর্য ৪৫ বলে ৬১ রান করেছিলেন। এর বাইরে কেউ ১৫ রানও করতে পারেননি। নির্দি🍌ষ্ট ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান 🎐করে টিম ইন্ডিয়া। উইন্ডিজের হয়ে চার উইকেট নিয়েছেন রোমারিও শেফার্ড। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আকিল হোসেন এবং জেসন হোল্ডার।
বল হাতে অবশ্য শুরুটা খারাপ হয়নি ভারতের। দ্বিতীয় ওভারেই মারমুখী কাইল মেয়ার🐓্সকে (১০) ফেরান আর্শদীপ সিং। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে চালিয়ে খেলতে থাক🐽েন ব্রেন্ডন কিং এবং নিকোলাস পুরান। ওখানেই ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যায় ভারতের। কুলদীপ যাদব রানের গতি কিছুটা থামান। তাঁকে খেলতে গিয়ে সমস্যা পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই তারকা।
আরও পড়ুন: ODI WC- এ কি সুযোগ পাবেন সূর্য? শ্রেয়স নিয়ে রোহওিত𓂃ের দাবির পর বোমা ফাটালেন স্কাই
লক্ষ্যমাত্রার যখন আর ৫১ রান বাকি, তখনই বৃষ্টি এসে বন্ধ করে খেলা। বৃষ্টির গতিবেগ ছিল না। কিন্তু মাঠের প্রচণ্ড বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল বলে খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নꦰি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর খেলা শুরু হতেই চমকে দেন হার্দജিক। বল করতে আনেন তিলক বর্মাকে। আর বল করতে এসেই এ দিন প্রথম বলেই প্রায় আউট করে ফেলেছিলেন পুরানকে। অল্পের জন্যে সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও, পরের বলে ফিরে যান পুরান। রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন। বল ব্যাটে লাগায় ডিআরএসে এলবিডব্লিউ হয়নি। কিন্তু লেগ স্লিপে দাঁড়ানো হার্দিক ক্যাচ নেওয়ায় আউট হন পুরান।
🍒পরের দিকে আরও একটি উইকেট পেতে পারতেন। নিজের বোলিংয়ে কিংয়ের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন তিলক। শেষ দিকে আরও একটি চমক দেন হার্দিক। বল করান যশস্বীকে দিয়েও। ততক্ষণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পকেটে চলে গিয়েছিল ম্যাচ। ব্রেন্ডন কিং ৫৫ বলে ৮৫ করে অপরাজিত থাকেন। ৩৫ বলে ৪৭ করেন পুরান। ১৩ বলে ২২ করে অপরাজিত থাকেন শাই হোপ। তিনি ছক্কা মেরে দলকে ম্যাচ জেতান। ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ এবং তিলক।