শুভব্রত মুখার্জি: গত আইপিএলের মরশুম থেকেই ব্যাট হাতে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার শিবম দুবে। চেন্নাই সুপার কিংসে এসে যেন এক নয়া রুপে ধরা দিয়েছেন তি𒈔নি। তাঁর সেই ফর্মের ধারাবাহিকতা তিনি ধরে রেখেছেন চলতি মরশুমেও। ইতিমধ্যেই চলতি মরশুমে সিএসকের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন শিবম। দুই ম্যাচেই তাঁর পারফরম্যান্স বেশ ভালো। বলা যায় দুই ম্যাচেই দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। নতুন রুপের শিবম দুবে যেন এখন সিএসকে দলের ত্রাতা। আর সেই কথাই যেন শোনা গেল কিংবদন্তি এবি ডি'ভিলিয়ার্সের গলাতে। তিনি জানালেন আরসিবিতে কোনও দিন শিবমকে এত মুক্তভাবে আমি খেলতে দেখিনি। পাশাপাশি শিবমের এই পুনর্জন্মের জন্য তিনি সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন সিএসকে টিম ম্যানেজমেন্টকে।
এর মধ্যে দিয়ে সিএসকের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং এবং প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে যে নবীনদের নতুন করে গড൩়ে তোলার অনবদ্য পরিবেশ সিএসকেতে রয়েছে তার প্রশংসা করেছেন এবি ডি'ভিলিয়ার্স। বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে এবি ডি'ভিলিয়ার্স জানিয়েছেন, ‘শিবম দুবেকে এমন রুপে খেলতে দেখে অসাধারণ লাগছে। আরসিবির সাজঘরে ওঁকে কোনদিন আমি এই ভাবে দেখিনি। আরসিবির সাজঘরে কোন দিন ও এতটা মুক্তভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। খুব লাজুক একজন ক্রিকেটার ছিল। প্রচন্ড পরিশ্রম করত। সেই সময়ে আমাদেরকে প্রচুর প্রশ্ন করত। আমার মতে ওই সময় থেকে ও অনেক কিছু শিখেছে। তবে ওঁকে দেখে কোনও দিন মনে হয়নি যে ও স্বস্তিতে রয়েছে। সিএসকেতে কিন্তু ওঁকে অনেক বেশি স্বাধীন,অনেক বেশি ম♏ুক্তমনা মনে হচ্ছে। আর আমার মনে হয় ধোনি, ফ্লেমিং এবং রুতুরাজদের এটাই ম্যাজিক রেসিপি।’
যে মরশুমে সিএসকের হয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে সবার নজর টানেন দুবে সেই মরশুমে তিনি করেন ২৮৯ রান। স্ট্রাইক রেট ১৫৬। চলতি আইপিএলে প্রথম ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে অপরাজিত ৩🅺৪ রানের ইনিংস খেলে তিনি দলের জয় নিশ্চিত করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে গুজরাটের বিরুদ্ধে ঝোড়ো ৫১ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভি🅺ত মজবুত করেন।
আরও পড়ুন… IPL 2024 SRH Vs MI: মুমℱ্বই কি জিততে পারে বলে মনে হয়েছিল? মজ𒆙ার জবাব দিলেন প্যাট কামিন্স
২০১৯ সালে আইপিএলে অভিযান শুরু হয় দুবের। সেই সময়ে তিনি আরসিবির হয়ে খেলতেন। সেই মরশুমে ১৫ ম্যাচে মাত্র ১৬৯ রান করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১২২। এরপর তিনি যান রাজস্থান রয়্যালসে। সেখানে ও সেভাবে সাফল্য পানꦍনি তিনি। শর্ট বলের বিরুদ্ধে তাঁর দুর্বলতা ধরা পড়ে যায়।এরপরেই চেন্নাইতে আসেন তিনি। আর সেখানে এসেই রাতার♏াতি ভোলবদল তাঁর।