শুভব্রত মুখার্জি:- আইপিএলের ইতিহাসে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ ট্রফি জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংস। পাঁচ-পাঁচবার ট্রফি জিতেছে তারা। তাদের এই সাফল্যের অন্যতম কারণ হল ঘরের মাঠে তাদের দুরন্ত পারফরম🦋্যান্স। চিপক যেন সিএসকের দুর্গ। এই দুর্গে কার্যত অপরাজিত দল চেন্নাই। তাদের হারানোটা মোটে ও সহজ নয়। যে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষেই তা বেশ কঠিন বিষয়। এর এটা বারবার টের পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) মতো তারকাখচিত দল। ২০২৪ সালের ১৭ তম আইপিএলের প্রথম ম্যাচে ও মুখোমুখি হয়েছিল সিএসকে এবং আরসিবি। চিপকে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে ছয় উইকেটে ꧋সহজ জয় পেয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। আর এই ম্যাচ হারার ফলে চিপকে দীর্ঘদিন ধরে আরসিবির জয়ের খরা অব্যাহত। ১৬ বছর পরেও তার কোনও পরিবর্তন হল না।
প্রসঙ্গত ২০০৮ সালে প্রথমবার শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ অর্থাৎ আইপিএলের পথচলা। এই প্রথম বছরেই চিপকে এসে সিএসকেকে 🐷হারিয়েছিল আরসিবি। সেইসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি বিরাট কোহলির। আরসিবির সেই জয়ের তিন মাস পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেꦫটে পা রেখেছিলেন তিনি।
যদিও ২০০৮ সালের পর থেকে চিপকে আরসিবিকে টানা হারতে হয়েছে। ২০১০ সাল, ২০১১ সালে দু'বার , ২০১২ সাল, ২০১৩ সাল, ২০১৫ সাল, ২০১৯ সাল এবং ২০২৪ সালে প্রত্যাশামতো জয় ছিনিয়ে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস দল। অর্থাৎ চিপকে যদি দুই দলের হেড টু হেড রেকর্ড দেখা যায় তাহলে দেখা যাবে সিএসকে ৮-১ ফল এগিয়ে রয়েছে। এক দশকের ও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়াম থেকে কার্যত খালি হাতে ফিরতে হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গা🅰লুরুকে। ২০২৪ সালেও গ্রুপ পর্যায়ে তার অন্যথা হল না।
শনিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল আরসিবি। তারা রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল। সেখান থেকে অনুজ রাওয়াত, দীনেশ কার্তিকরা আরসিবিকে লড়াইয়ে ফেরান। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। আরসিবি নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে। বিরাট কোহলি ২১,ফাফ ডু'প্লেসি ৩৫,অনুজ রাওয়াত ২৫ বলে ৪৮ এবং দীনেশ কার্তিক ২৬ বলে ৩৮ রান কর✃ে অপরাজিত থেকে দলকে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দেন। চেন্নাইয়ের হয়ে মুস্তাফিজুর নিয়েছেন চার চারটি উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র চার উইকেট হারিয়ে ১৮.৪ ওভারে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সিএসকে। রাচিন রবীন্দ্র ৩৭, অজিঙ্কা রাহানে ২৭,ড্যারিল মিচেল ২২, রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত ২৫ এবং শিবম দুবে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। আরসিবির হয়ে দুটি উইকেট নেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন।