৩১ জুলাই জয় শাহের উপস্থিতিতে আইপিএল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকের সবচেয়ে বড় এজেন্ডা ছিল আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামের আগে খেলোয়াড়দের ধরে রাখা। আইপিএলের নিয়ম বই অনুসারে, এখন পর্যন্ত প্রতিটি দলের জন্য চার জন খেলোয়াড় রাখার নিয়ম ছিল, যেখানে ২ জনের বেশি বিদেশী এবং ৩ জনের বেশি ভারতীয় খেলোয়াড় থাকতে পারবেন না🌺। কিন্তু ১৭ তম আসরের মেগা নিলামের আগে, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের ক্রিকেটার ধরে রাখার বিষয়ে আলাদা মতামত প্রকাশ করেছ𓃲েন। আইপিএল নিয়ে ডাকা বৈঠকে তাদের মধ্যে এই মতপার্থক্য প্রকাশ্যে আসে এবং বিতর্কের ঝড় তোলে। শাহরুখ খান হোক, কাব্য মারান বা প্রীতি জিন্টা, নেস ওয়াদিয়া তারা প্রত্যেকেই এই মিটিংয়ে অংশ নিতে এসেছিলেন। সকলেই তাদের যুক্তিতে অটল থাকেন।
দলের মালিকদের মধ্যে মতভেদ কেন?
এখন প্রশ্ন হল কেন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হল? কেন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের ক্রিকেটার ধরে র🔴াখার বিষয়ে এক মতামত পাওয়া গেল না? কেꦬকেআর মালিক শাহরুখ খান যতটা সম্ভব পুরনো খেলোয়াড়কে দলে রাখার জন্য জোর দিচ্ছেন। অন্যদিকে যতটা সম্ভব নতুন খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছেন পঞ্জাব কিংসের সহ-মালিক নেস ওয়াদিয়া। শাহরুখ খানের ঠিক বিপরীত মত রেখেছেন ওয়াদিয়া। যেখানে কাব্য মারানকে দলে বিদেশি খেলোয়াড় রাখার ওপর জোর দিতে দেখা গিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের বক্তব্যের পিছনে যুক্তি কী?
আরও পড়ুন… IPL 2025-এ কি খেলবেন 👍ধোনি? মেগা নিলামের এই নিয়মের উপর নির্ভর করবে CSK-তে মাহির ভবিষ্যত
শাহরুখ খান কেন বেশি ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন?
শাহরুখ খান তার আরও খেলোয়াড়দের মুক্তি না দেওয়ার এবং পরবর্তী মর⛎শুমের জন্য তাদের দলে ধরে রাখার জন্য জোর দিয়েছিলেন। এর কারণ এই খেলোয়াড়রাই যে তাঁকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। এই খেলোয়াড়দের মধ্যে একটি সমন্বয় আছে, যা তাদের আলাদা করে ভাঙার মানসিকতা নেই। তিনি চান দলের মূল অংশ অটুট থাকুক। এ কারণেই যতটা সম্ভব খেলোয়াড় ধরে রাখার মেজাজে রয়েছে তারা।
আরও পড়ুন… সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁকে নিয়ে কোনও বিতর্ক হলে কেন জবাব ✅দ🔴েন না ধোনি? বিষয় থেকে পর্দা তুললেন মাহি
ন্যূনতম ধরে রাখতে চাইলেন পঞ্জাব কিংসের মালিক, কিন্তু কেন?
যদিও প্রীতি জিনতার দল পঞ্জাব কিংস-এর সহ-মালিক নেস ওয়াদিয়া এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। নেস ওয়াদিয়ার জোর ছিল যতটা সম্ভব খেলোয়াড়কে ছেড়ে দেওয়ার ওপর। তাদের ধরে রাখার উপর নয়। এর পিছনে কারণ হিসেবে দেখা গেছে আইপিএ๊লে তার দলের ব্যর্থতা।
আরও পড়ুন… চিনের শীর্ষ বাছাইয়ের কাছে একপেশে হার, শেষ বক্সার নিখাত জারিনের Paris Olympi🐓cs 2024-এর যাত্রা
কাব্য মারানের যুক্তি কী?
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মালিক কাব্য মারানকেও কেকেআর এবং পঞ্জাব কিংসের মালিকদের মধ্যে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেছে। তিনি তার যুক্তি উপস্থাপন করেন। কাব্য মারানের মতে, খেলোয়াড়দের ধরে রাখার বিষয়ে কোনও বিধিনিষেধ থাকা উচিত নয়। বিসিসিআইকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের দেওয়া উচিত। তিনি বলেছিলেন যে কোনও দলের শক্তি হল তার ক্যাপড খেলোয়াড় এবং কিছু আনক্যাপড খেলোয়⛦াড়। কেউ তাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের শক্তিতে জিতেছে আবার কেউ তাদের বিদেশী খেলোয়াড়দের শক্তিতে জিতেছে। কাব্য মারান স্বীকার করেছেন যে এসআরএইচের শক্তি বিদেশী খেলোয়াড়রা। এটা স্পষ্ট যে এখন যে বৈঠকে এত মতবিরোধ, সেখানে বিশৃঙ্খলা হবে। আর আইপিএল নিয়ে বৈঠকেও তা দেখা গেল। তবে বিসিসিআই এখন এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার বিষয়।
কী বললেন পার্থ জিন্দাল-
এই পুরো ঘটনাটি তুলে ধরেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অন্যতম মালিক পার্থ জিন্দাল। তিন🤪ি বলেছেন এই বৈঠকে ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে কোন ঐকমত্য ছিল না। কারণ প্রতিটি মালিক তাদের ক্রিকেটার ধরে রাখার জন্য আলাদা পরিকল্পনা ছিল। ক্রিকেটার ধরে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিছুই হল না (ঐক্যমত্যের উপর)। কিছু লোক চায় আট থেকে ১০ জনকে ধরে রাখবে, কিছু জন চায় চার, কেউ কেউ আবার চায় ছয় জনকে ধরে রাখতে চেয়েছে।’
পার্থ জিন্দাল বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি অবাক হয়েছিলাম। এখানে আরও একটি বিতর্ক ছিল। কিছু লোক বলেছিল যে মেগা নিলাম হওয়া উচিত নয়। শুধুমাত্র ছোট নিলাম হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সেই ক্যাম্পে ন✨েই। আমি অনুভব করি যে এটি (নিলাম) খেলার মাঠকে সমান করে দেয়, এবং এটি সবার জন্য খুব ভালো। এটি আইপিএলকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। এটি এটিকে প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে। এটি এটিকে খেলার মাঠের সমান করে তোলে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক বিষয়ে সহ মত হতে পারিনি। কিন্তু আমি মনে করি বিসিসিআই তাদের বুদ্ধিমত্তায় সিদ্ধান্ত নেবে। আমি মনে করি সভাপতি ও সচিব সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।’