ঘণ্টায় ১৪৪ কিলোমিটারের ইনসুইঙ্গিং ইয়র্কার। সেটা আছড়ে পড়ল একেবারে লেগ ও মিডল স্টাম্পের গোড়ায়। তারপর বলটা যে শুধু আন্দ্রে রাসেলের স্টাম্প গুঁড়িয়ে দিল, তাই নয়। ইশান্ত শর্মার দুর্ধর্ষ ইনসুইঙ্গিং ইয়র্কারের কোনও উত্তর খুঁজে না পেয়ে ধপাস করে মাটিতে পড়েও গেলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) তারকা ক꧋্রিকেটার। যিনি কিছ🌱ুক্ষণ পরে উঠে দাঁড়িয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় হাততালি দিতেও থাকেন। যে ঘটনাকে ম্যাচের সেরা মুহূর্তের তকমা দিয়েছেন ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে।
আর সত্যিই সেটা সম্ভবত বুধবারের🥀 ম্যাচের সেরা মুহূর্ত হয়ে থাকবে। বিশেষত বিশাখাপত্তনমে কেকেআরের বিরুদ্ধে প্রথম দুটি ওভার তেমন ভালো যায়নি ইশান্তের। বেধড়ক মার খান সুনীল নারিনের হাতে। দু'ওভারে খরচ করে ফেলেন ৩৫ রান। সেই পরিস্থিতিতে চতুর্থ ওভারের পরে তাঁকে একেবারে ২০ তম ওভারে ফিরিয়ে আনেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। সেইসময় স্কোরবোর্ডে ২৬৪ রান নিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল𝔍 কেকেআর। ১৪ রান করলেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ২৭৭ রানের রেকর্ড ভেঙে দিত।
আরও পড়ুন: Sunil Narine records: গৌতির চালে KKR-র সর্বাধিক রানের মালিক নারিন! এই ৮৫-ই কেরিয়ারের সর্ব♉োচ্চ স্কোর
সেই পরিস্থিতিতে ইশান্ত যে বলটা করেন, সেটা তাঁর ‘প্রাইমে’ করলেও গর্ববোধ করতেন ভারতের তারকা পেসার। ১৪৪ কিলোমিটারের ইনসুইঙ্গিং ইয়র্কারটা ক্রমশ রাসেলের দিকে চলে আসতে থাকে। কোনওভাবে ব্যাট ঠেকানোর চেষ্টা করেন কেকেআরের তারকা ব্যাটার। যিনি ততক্ষণে ১৮টি বল খেলে ফেলেছেন। কিন্তু ইশান্তের গতিতে মাত খেয়ে যান। মিডল এবং লেগ স্টাম্পের গোড়ায় আছড়ে পড়ে। ভেঙে দেয় স্টাম্প। ধপাস করে পড়েও যা൲ন রাജসেল। তারপর উঠে ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় ব্যাটে হাত ঠুকে বাহবা দেন কেকেআরের তারকা।
কেউ-কেউ তো আবার এই ইয়র্কারের সঙ্গে রিকি পন্টিংয়ের বিরুদ্ধে পার্থে তরুণ ইশান্তের সেই বিধ্বংসী স্পেলের তুলনা করতে শুরু করে দিয়েছেন। যে স্পেলে পন্টিংকে নিয়ে খেলা করেছিলেন ইশান্ত। বুধবার সেই পন্টিং যখন তাঁর দলের ডাগ-আউটে বসে আসেন, তখন সেই দুর্ধর্ষ ইয়র্কার করেন ভারতের তারকা পেসার। যে বলটা অসাধারণ হলেও পার্থের সেই স্পেলকে এগিয়ে রাখছেন ব✤েশিরভাগ নেটিজেন।
আরও পড়ুন: DC vs KKR, IPL ꦍ2024:𓂃 আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর করল কলকাতা
তবে সে যাই হোღক না কেন, ইশান্তের সেই দুর্ধর্ষ বলের সুবাদেই ২০ তম ওভারে মাত্র আট রান তুলতে সক্ষম হয় কেকেআর। তার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ২৭২ রান তোলে নাইট ব্রিগেড। ৩৯ বলে ৮৫ রান করেন সুনীল নারিন। ২৭ বলে ৫৪ রান করেন অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। ১৯ বলে ৪১ রান করেন রাসেল। আট বলে ২৬ রান করেন রিঙ্কু সিং।