বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি হিসেবে নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন জয় শাহ, তার আগে কোনওভাবেই দায়িত্ব ছাড়ছেন না তিনি। বুধবার বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের তরফে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেই সভায় পরবর্তী বোর্ডের সেক্রেটারি কে হবেন এজেন্ডায় রাখা হয়নি। বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভার আগে এটিই শেষ অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সভা। ২৯ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বিসিসিআইয়ের ৯৩ তম বার্ষিক সাধারণ সভা। জয় শাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়꧙ আইসিসির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ার পর কে বোর্ডের পরবর্তী সেক্রেটারি হবে সেটা জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এজেন্ডায় ৮টি আলোচনার বিষয়ের কথা উল্লেখ থাকলেও পরবর্তী সেক্রেটারি কে হবেন তা নিয়ে আলোচনার কোনও উল্লেখ নেই।
৮টি আলোচনার বিষয়ের মধ্যে বোর্ডের আগের স্পনসর বাইজু'সের বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। বাইজু'স একটি বেঙ্গালুরু স্থিত এডুকেশন-টেক কোম্পানি, যার কো-ফাউন্ডার ছিলেন বাইজু রবীন্দ্রন। তিনি গতবছর মার্চ মাসে বোর্ডের সঙ্গে স্পনসরশিপ ডিল ভঙ্গ করেন। অভিযোগ ওঠে বাইজু'স অক্টোবর ২০২২ থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত স্পসরশিপের টাকা বকেয়া রেখেছে। সেই বিষয়ট𝓀ি নিয়ে এবারের বৈঠকে আরও একবার আলোচনা হতে পারে। এছাড়াও বেঙ্গালুরুর বাইরে আরও একটি ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বোর্ডের, সেটি নিয়েও আলোচনা হবে বুধবারের বৈঠকে। দীর্ঘ একদশক ধরে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের মধ্যেই ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি চলছিল। এজেন্ডায় মুম্বইয়ে বিসিসিআইয়ের হেডকোয়ার্টারের সংস্কারের বিষয়ের উল্লেখ আছে, পাশাপাশি নর্থ-ইস্ট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট নিয়েও আলোচনা করা হবে। মূলত কিভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতে ক্রিকেটকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাঁর উপর জোর দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিছুদিন আগে আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জয় শাহ। ডিসেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। প্রথমে ঠিক ছিল বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় ঠিক হয়ে যাবে তাঁর জায়গায় কে আসবেন। ঘোরাফেরা করছিল বেশ কিছু নাম। তবে তিনি আপাতত ভাবে দায়িত্ব ছাড়ছেন না। যতদিন না আইসিসির দায়িত্ব নিচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব সামলাবেন জয় শাহ। এর আগে ঘরের মাঠে সুষ্ঠু ভাবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন করে নিজের প্রশাসনিক দক্ষতার নিদর্শন রেখেছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০২৮ অলিম্পিক্সে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তির পিছনে তাঁর অবদান যথেষ্ট। এখন দেখার আইসিসির দায়িত্ব কেমন দক্ষ হাতে সামলান অমিত শাহর পুত্র।