রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে হার দিয়ে আইপিএল ২০২৪ অভিযান শুরু করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। তবে পরে নিজেদের ডেরায় পঞ্জাব কিংসকে এবং আরসিবিকে তাদের মাঠে পরাজিত করে এলএসজি। সুতরাং, চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের শুরুটা মন্দ🦋 হয়নি লোকেশ রাহুলদের। যদিও স্কোয়াড নিয়ে দুশ্চিন্তা যাচ্ছে না লখনউ শিবিরের।
লখনউয়ের প্রাথমিক স্কোয়াডের একের পর এক ক্রিকেটারের ছিকটে যাওয়ার ধারা বজায় রয়েছে সমানে। ফলে স্কোয়াডে ক্রমশ রদবদল করতে হয়েছে তাদের। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই মার্ক উড𒆙 আইপিএল ২০২৪ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। লখনউ সুপার জায়ান্টস ব্রিটিশ তারকার পরিবর্ত হিসেবে দলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার শামার জোসেফকে।
পরে ব্যক্তিগত কারণে আইপিএল খেলতে আসবেন না বলে জানিয়ে দেন লখনউয়ের আরও এক ব্রিটিশ তারকা ডেভিড উইলি। সুপার জায়ান্টস তারও পরিবর্ত খুঁজে নেয় তড়িঘড়ি। উই🍌লির পরিবর্ত হিসেবে লখনউ দলে নেয় নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি পেসার ম্যাট হেনরিকে, যিনি সাত বছর আগে ২টি মাত্র আইপিএল ম্যাচ খেলেছিলেন। সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যে, ছিট꧂কে যাওয়া ক্রিকেটারদের লাইক-টু-লাইক পরিবর্ত খুঁজে পাওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এবার লখনউয়ের স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেলেন আরও এক তারকা পেসার। যদিও এবার বাধ্য হয়েই তাঁকে স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দেয় লখনউ। চোটের জন্য চলতি আইপিএলে মাঠে নামার সম্ভাবনা নেই শিবম মাভির। ꦛতাই ভারতীয় পেসারকে অকারণে স্কোয়াডের সঙ্গে বয়ে বেড়ানোর রাস্তায় হাঁটেনি এলএসজি।
লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে সোশ্যাল মিডিয়া༒য় বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিবম মাভির টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এও জানানো হয় যে, তরুণ পেসারের সুস্থ হয়ে ওঠার দিকে নজর থাকবে ফ্র্যাঞ্চাইজির এবং দলের তরফে সব রকম সাহায্য করা হবে মাভিকে।
শিবম মাভিকে গত আইপিএল নিলাম থেকে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার মোটা অঙ্কে দলে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। তিনি প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শিবির থেকেই সুপার জায়ান্টসের সঙ্গে ছিলেন। যদিও টুর্নামেন্টে মাঠে নামতে পারলেন না শিবম। এই নিয়ে টানা ২ বছর আইপিএলের কোনও ম্যাচে মাঠে নামা হল না মাভির। ২০২৩ আইপিএলের আগে মাভিকে ৬ কোটি টাকায় দলে নেয় গুজরাট টাইট🔯ানস। তবে সারা মরশুমে কোনও ম্যাচে মাঠে নামায়নি তাঁকে। এবার চোটের জন্য ছিটকে গেলেন মাভি।
যদিও লখনউ সুপার জায়ান্টস এখনও শিবম মাভির কোনও পরিবর্ত খুঁজে নেয়নি। তাদের স্কোয়াডে ম্যাট হেনরি, নবীন উল হক, শামার জোসেফের মতো বিদেশি পেসার ছাড়াও মার্কাস স্টইনিসের মতো পেসার অল-রাউন্ডার রয়েছেন। তাছাড়া মহসিন খান, মায়াঙ্ক যাদব, যশ ঠাকুর, আর্শাদ খান, যুধবীরের মতো ভারতীয় পেস বোলিং বিকল্পও রয়েছে সুপার জায়ান্টসের স্কোয়াডে। তাই লখনউ আদৌ মাভির পরিবর্ত খুঁজে নেয় কি𝔍না, সেটাই হবে দেখার।