এমএস ধোনি এবং বিরাট কোহলি- ভারতীয় ক্রিকেটের দুই বিপ্লবী। দুরন্ত ব্যাটসম্যান এবং বড় অধিনায়কও। ধোনি যা কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, যা বিশ্বের অন্য কোনও অধিনায়ক করতে পারেননি। তিনি তিনটি বড় আইসিসি ট্রফি জিতেছেন। অন্যদিকে কোহলি টেস্টে ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। তবে এই দুই অধিনায়কের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন ভারতের স্পিনার অমিত মিশ্র।
অভিজ্ঞ ভারতীয় স্পিনার অনিল কুম্বলের অধীনে অভিষেক হ🍰য়েছিল অমিত মিশ্রর। এর পর ধোনি এবং কোহলি উভয়ের অধীনেই খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু চোটের কারণে তাঁর কেরিয়ার দীর্ঘায়িত হয়নি।
আরও পড়ুন: কতদিনღ খেলবেন ওডিআই ও টেস্ট? আমেরিকায় গিয়ে ঘোষণা করলেন রোহিত শর্মা!
তিনি ২২টি টেস্ট, ৩৬টি ওডিআই এবং ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলে ১৫৬টি উইকেট তুলে নেন। অমিত মিশ্র হয়তো আনুষ্ঠানিক ভাবে অবসরের ঘোষণা করেননি। কিন্তু ভারতের হয়ে তিনি যে তাঁর চূড়ান্ত ম্যাচ খেলে ফেলেছেন, তা বলার জন্য কোনও রকেট সায়েন্সের প্রয়োজন পড়বে না। অমিত মিশ্র একটি খোলামেলা আড্ডায় প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের টেস্ট থেকে তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। তিনি সেই ম্যাচে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এবং𒈔 হাফসেঞ্চুরিও করেছিলেন। তবুও তাঁর এই পারফরম্যান্স পরের ম্যাচে একাদশে জায়গা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
শুভঙ্কর মিশ্রের ইউটিউব শো ‘আনপ্লাগড’-এ তিনি দাবি করেছেন, ‘দল নির্বাচনে অধিনায়কের পছন্দের ক্রিকেটা🔜র হওয়াটা অনেক বেশ🀅ি গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ভালো ক্রিকেট খেলাই যথেষ্ট নয়। অধিনায়ক সব সময়ে প্লেয়িং ইলেভেন নির্ধারণ করেন। এমএস ধোনির সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক ছিল। আমি ওকে দু'বার জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন আমাকে দলে নেওয়া হচ্ছে না। ও বলেছিল, ওর কম্বিনেশনে আমি মানানসই নই।’
আরও পড়ুন: স্বার্♐থপর, কখনও ভালো লিডার হতে পারবে না- যশস্ꦯবীর জন্য শুভমনকে তীব্র আক্রমণ নেটপাড়ার
সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে, বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। তবে আমি কখনও-ই এটি চাইনি। আমি তখন ১০টি টেস্ট ম্যাচও খেলিনি, তাহলে আমি কেন বিশ্রাম বা বিরতি চাইব? সত্যি কথা বলতཧে, সেই সময়ে ধোনিকে প্রশ্ন করার মতো জায়গায় আমি ছিলাম না। আমি কোচকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এবং তিনি আমাকে বলেছিল যে, আমরা তোমাকে বিশ্রাম দিচ্ছি।’
অমিত মিশ্র দল থেকে ছিটকে যাওয়ার আগে, ২০১১ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে টেস্টে বিক্ষিপ্ত ভাবে সুযোগ পেয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন। এবং আইপিএল-এর সর্বকালের সেরা স্পিনারদের একজন হিসাবে নিজের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছিলেন। কিন্তু অমিত মিশ্রের অধিনায়ক ধোনি থেকে কোহলিতে বদলে গেলেও, তাঁর ভাগ্য ফেরেনি।২০২৫-১৬ মরশুমে তাঁর শেষ নয়টি টেস্টে কোহলি অধিনায়ক ছিলেন। তবে এই লেগ-স্পিনার খুဣব বেশি সুযোগ না পেয়ে, ফের ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন।
অমিতের দাবি, ‘আমার কেরিয়ারে সবচেয়ে খারাপ অনুভূতি ছিল, যখন আমি পাঁচ বছর আগে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলাম। এটি ম্যাচের মধ্যে ঘটেছিল। সিরিজের আগে আমি নিউজিল্যান্ডের ব𝓰িপক্ষে ম্যান অফ দ্য সিরিজ এবং ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলাম। এবং এটি তখনকার নিয়ম ছিল, এখনও এটি ঘটে কিনা তা নিশ্চিত নই, তবে আপনি যদি খেলতে গিয়ে আহত হন, তবে আপনাকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে প্রত্যাবর্তন করানো হবে। ঋদ্ধিমান সাহা, অনিল কুম্বলে এবং হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে এটি ঘটেছিল, কিন্তু এটা আমার সঙ্গে কখনওই হয়নি।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আইপিএল চলাকালীন, আমাদের শেষ ম্যাচটি ছিল আরসিবির বিপক্ষে। আমি ওকে (কোহলিকে) আমার কেরিয়ার সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ছবি দিতে বলেছিলাম🔯। ও বলেছিল, মিশি ভাই, আমি জিজ্ঞাসা করব এবং আপনাকে জানাব। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আমার কামব্যাক সিরিজে বিরাট কোহলি আমাকে সাহায্য করেছিল। ২০১৬-তে আমি ভালো করছিলাম এবং ভারতের একজন লেগ-স্পিনারের প্রয়োজন ছিল, যে শ্রীলঙ্কায় বল করতে পারে, কোহলি বলেছিল, আজ থেকে তুমি আমার মতো ওজন উত্তোলনের জন্য অনুশীলন করবে। আমি ওকে বলেছিলাম, তোমার মত ওজন তুলতে আমি পারি না, কিন্তু আমি দৌড়তে পারি। তার পর আমি চোট পেয়েছিলাম। তবে আমি ওকে আবার জিজ্ঞাসা করেছি, কিন্তু কখনও-ই স্෴পষ্ট উত্তর পাইনি। আমি ওকে মেসেজ করেছিলাম। সেটা ও পড়েছিল এবং বলেছিল, তোমাকে জানাব, কিন্তু কখনও জানায়নি।’