পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাওয়ালপিন্ডিতে। প্রথম ম্যাচে, ইংল্যান্ড একটি দুর্দান্ত জয় নথিভুক্ত করেছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে, পাকিস্তান দুর্দান্ত পাল্টা আক্রমণ করে এবং ♏সিরিজে সমতায় ফেরে। এখন তৃতীয় টেস্টে দুই দলের মধ্যে দারুণ লড়াই দেখা যায়। ২৪ অক্টোবর থেকে তৃꦯতীয় টেস্ট ম্যাচ শুরু হয়েছিল, যার প্রথম দিনে, পাকিস্তানি বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন এবং প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ২৬৭ রানে অলআউট করে দিয়েছিল।
তৃতীয় টেস্টে পাকিস্তান তাদের প্লেয়িং ইলেভেনে ৫ বোলারকে সুযোগ দিয়েছিল। এর মধ্যে একজন ফাস্ট বোলারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। মজার বিষয় হল এই ফাস্ট বোলার একটি ওভারও বল করার সুযোগ পেলেন না। এভাবেই পাকিস্তানের ক্রিকেট🦂ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেখা গেল এক অনন্য কীর্তি।
আরও পড়ুন… BAN vs SA: সে তার জায়গা, আমি আমার মতো: শাকিবের সঙ্গে নিজের তুলনা করতে চান না মেহেদি হাসান মি𒁏রাজ
স্পিনাররা বিস্ময়কর কাজ করেছে
আসলে, প্রথম দিনে পাকিস্তানের হয়ে বোলিং করেছেন চার স্পিনার সাজিদ খান, নোমান ꧑আলি, জাহিদ মাহমুদ এবং আঘা সলমন। এর মধ্যে সাজিদ খান ৬টি ও নোমান আলি ৩টি উইকেট শিকার করেন এবং একটি সাফল্য পান জাহিদ মাহমুদ। খাতা খুলতে পারেননি আঘা সলমন। একই সঙ্গে প্লেয়িং ইলেভেনের একমাত্র ফাস্ট বোলার আমির জামাল তার পালা আসার অপেক্ষায় থাকেন। পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে একটি বলও করতে পারেননি এই ফাস্ট বোলার।
আরও পড়ুন… অম্লমধুর দিন ভারতের, জার্মানিকে পাঁচ গোল দিয়ে ম্যাচ জিতেও সিরিজ জি♔তলেন না হরমনপ্রীতরা
উদ্বোধনী জুটির লজ্জাজনক পারফরম্যান্স
ইংল্যান্ড ২৬৭ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর পাকি♍স্তানের ওপেনিং জুটি মাঠে নামে। আবদুল্লাহ শফিক ও স্যাম আইয়ুব ইনিংস শুরু করেন। দু’জনে ১৬ রানের জুটি গড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেদের নামে বড় রেকর্ড গড়েন। আসলে ১১তম টেস্ট ইনিংসে এই প্রথম দুজনের মধ্যে এত রানের জুটি গড়ে ওঠে। এ থেকেই অনুমান করা যায় টেস্টে পাকিস্তানের এই ওপেনিং জুটিꦏর পারফরম্যান্স কতটা খারাপ।
আরও পড়ুন… IND vs NZ 2nd Test: ৫১ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয়ব🏅ার এমনটা ঘটল, ৭ উইকেট নিয়ে একাধিক নজির গড়লেন ওয়াশিংটন
তবে এবারও এই জুটি বিশেষ কিছু করতে পারেনি এবং প্রথম উইকেটে মাত্র ৩৫ রান যোগ করতে পারে। দশম ওভারে আবদুল্লাহ শফিক আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই জুটি ভেঙে যায়। মাত্র তিন রান করে সাজঘরে ফিরে যান কামরান গুলাম। এর ফলে ১৩.৪ ওভারে ৪৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান দল। তবে এরপরে শান মাসুদ ও সউদ শাকিল ইনিংসের হাল ধরেন। শেষ পর্যন্ত দ🎃িনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ৭৩ রানে তিন উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। এদিনের ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে সাজিদ খান ২৯.২ ওভারে ১২৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন।