তিনি আর ভারতীয় দলের কোচ থাকছেন না। 🍌তবে বিদায়বেলায় বিরাট কোহলিকে নয়া ‘টার্গেট’ দিয়ে গেলেন ভারতীয় দলের বিদায়ী হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরে ভারꩲতের ড্রেসিংরুমে বিরাটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দ্রাবিড় বলেন, ‘তিনটি সাদায় টিক পড়ে গিয়েছে। একটি লালে (টিক পড়া) বাকি আছে।’ অর্থাৎ সাদা বলের তিনটি আইসিসি ট্রফি (৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) জিতে ফেলেছেন বিরাট। বাকি আছে শুধু লাল বলের আইসিসি ট্রফি (বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ)। যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হবে আগামী বছর। মোটামুটি এক বছর বাকি আছে। আপাতত শীর্ষে আছে ভারতই।
সাদা বলে বিরাটের প্রথম ICC ট্রফি
বিরাট যখন নিজের সিনিয়র কেরিয়ারে প্রথম আইসিসি ট্রফি জেতেন, তখন তিনি সবে ক♎েরিয়ার শুরু করেছিলেন। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। ফাইনালে সচিন তেন্ডুলকর এবং বীরেন্দ্র সেহওয়াগ দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েছিলেন।
সেইসময় বিরাটের মধ্যে প্রতিভা থাকলেও এখনকার মতো অধ্যাবসায় ছিল না। বিরাট নিজেও একা൩ধিকবার বলেছেন যে কম বয়সে সবাই যেমন থাকেন, তিনি সেরকম ছিলেন। জীবনটা উপভোগ করতেন। এরকম চূড়༒ান্ত পর্যায়ের ফিট ছিলেন না।
বিরাটের দ্বিতীয় ICC ট্রফি
দু'বছর পরেই কেরিয়ারের দ্বিতীয় আইসিসি ট্রফি জিতেছিলেন বিরাট। বৃষ্টিবিঘ্নিত💜 চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে সꦏর্বোচ্চ রান করেছিলেন। বার্মিংহ্যামে ৩৪ বলে তাঁর ৪৩ রানের ইনিংসের জন্য ১২৯ রান তুলতে পেরেছিল ভারত। যে ম্যাচটা পাঁচ রানে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। তখনও ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন ধোনি।
তৃতীয় ICC ট্রফি জয় বিরাটের
কেরিয়ারের তৃতীয় আইসিসি ট্রফির জন্য বিরাটকে ১১টা বছর 🌱অপেক্ষা করতে হয়েছে। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে বিভিন্ন আইসিসি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল, ফাইনালে খেলেছেন। কিন্তু সেই কাঙ্খিত ট্রফিটা আ✃সেনি। সেটা এসেছে ২০২৪ সালের ২৯ জুন। বার্বাডোজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন বিরাট। রোহিতের নেতৃত্বে সেই ট্রফি জিতেছে ভারত। ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছেন বিরাট।
২০২৫ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল
ধোনির আমলে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে গিয়ে ভারতীয় দলকে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু বিরাটের হাতে যখন টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব গিয়েছিল, তখন ইংল্যান্ড হোক বা অস্ট্রেলিয়া- ভারত তুমুল লড়াই করত। হারিয়েও এসেছেন। তাঁর আমলেই ভারতের পেস বোলিং অ্যাটাক বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। ফলে আগে সবুজ পিচ বানিয়ে ভারতকে নাকানি-চোবানি খাওয়ানোর যে পরিকল্প🐟না নিত বিদেশি দলগুলি, তারা এখন নিজেরাই ভাবে যে সবুজ পিচে ভারতীয় বোলারদের সামলাতে পারব তো আমরা?
আর সেই পরিবর্তনের সুবাদেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সংস্করণের ফাইনালে পৌঁছেছিল ভারত। তখন ক্যা🐠প্টেন ছিলেন বিরাটই। তবে হেরে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। দু'বছর পরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সংস্করণেও ভারত ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু রোহিতের নেতৃত্বাধী🌃ন দল জিততে পারেনি। আর তৃতীয় সংস্করণের ফাইনাল হবে ২০২৫ সালে। আপাতত সেই ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে আছে ভারত। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে।