নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচে ভারত তাদের প্লে🗹য়িং ইলেভেন অপ্রত্যাশিত একটি বদল করে। পেসার হর্ষিত রানাকে বিশ্রাম দিয়ে রোহিতরা মাঠে নামান স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে। ভারত সেই ম্যাচে চারজন স্পিনার নি𝐆য়ে মাঠে নামে। টিম ইন্ডিয়ার সেই ফর্মুলা পুরোপুরি সফল হয়। বরুণ একাই ৫টি উইকেট দখল করেন। ভারতের চার স্পিনার সাকুল্যে ৯টি উইকেট তুলে নেন।
পরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালেও ভারত একই কম্বিনেশন নিয়ে মাঠে নামে। এ🅠বারও চার স্পিনারে দল সাজায় টিম ইন্ডিয়া এবং বরুণ তুলে নেন ২টি উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই ফাইনালে যেহেতু ফের রোহিতদের সামনে নিউজিল্যান্ড, তাই পুরনো চার পেসারের কম্বিনেশনেই ভারত মাঠে নামতে পারে বলে বলে মনে ⛄করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ভারত সেমিফাইনালের উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখে ফাইনালে খেলতে পারে বলে ধারণা বেশিরভাগ ক্রিকেটপ্রেমীর।
যদিও রবি শাস্ত্রী এই দলে নাম লেখাতে রাজি নন। বরং তাঁর ইঙ্গিত, টিম ইন্ডিয়া পিচের কথা মাথায় রেখে অপ্রত্যাশিত একটা বদল করতে পারে নিজেদের প্রথম একাদশে। শাস্ত্রীর দাবি, ভারত-অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালের পিচটাই টুর্নামেন্🦋টের সেরা পিচ ছিল। তাছাড়া ফাইনালের আগে মাঠকর্মীরা ৪-৫ দিন সময় পেয়েছেন পিচের পরিচর্যার। সুতরাং, আরও একটি ম্যাচে প্রায় ৩০০ রানের লড়াই হতে পারে বলে মনে করছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন হেড কোচ।
আইসিসি রিভিউয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘যদি পিচের কথা মাথায় রেখে উভয় দলে একটি করে অপ্রত্যাশিত বদল হয়, তাহলে অবাক হব না। কেননা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমি⛎ফাইনালের পিচটাকেই টুর্নামেন্টের সেরা পিচ মনে হয়েছে। তাছাড়া শেষ ম্যাচের পরে মাঠকর্মীরা ফাইনালের পিচ তৈরির জন্য ৫ দিন সময় পেয়েছে। সুতরাং, যদি শেষ ম্যাচের মতো ২৮০-৩০০ রানের পিচ হয়, তাহলে কম্বিনেশন নিয়ে ভাবতেই পারে দু'দল। তবে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কম্বিনেশন বদলের কথা ভাবা উচিত নয়।'
শাস্ত্রী যদিও স্পষ্ট করে উল্লেখ করেননি কার বদলে কাকে মাঠে নামাতে পারে টিম ইন্ডিয়া। শুধু একটা চমক দেখা যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে রাখেন তিনি। শাস্ত্রী ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনালে কোনও অল-রাউন্ডার বাজিমাত করꦍতে পারেন বলেও দাবি করেন। তাঁর মতে ম্যাচের নায়ক হয়ে দেখা দ൩িতে পারেন অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা বা গ্লেন ফিলিপসের মতো কেউ। তবে ফাইনালে সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলতে পারেন কোহলি, রাচিন বা উইলিয়ামসনের মধ্যে কেউ একজন, এমনটাও জানাতে ভোলেননি শাস্ত্রী।