একেবারে চমকে দেওয়ার মতো পারফরম্যান্স করে আইপিএলের প্লে-অফে উঠেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অথচ আশা জাগিয়েও, লিগ পর্ব থেকেই ছিটকে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। তাও নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকার সুবাদে। শুধু সিএসকে নয়, একই হাল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসেরও। তারাও ১৪ পয়েন্টে লিগ পর্ব শেষ ক💜রলেও, নেট রানরেটে পিছিয়ౠে পড়েছে। এক্ষেত্রে বাজিমাত করেছে আরসিবি।
শনিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে চেন্নাই সুপার কিংস ২৭ রানে হেরে যাওয়ার পরে সিএসকে অধಌিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় স্বীকার করেছেন যে, এই উইকেটে ২০০ পার করে যাওয়াটা কঠিন ছিল না একেবারেই। কিন্তু তাঁরা সেই কাজটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তাঁকে গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে পাঠান। রুতু🦂রাজের নিজের পারফরম্যান্সও ছিল হতাশার। পাশাপাশি শেষ ৫ বলে যেখানে ১১ রান করলেই চেন্নাই প্লে-অফে উঠে পড়ত, সেখানে আরসিবি-র যশ দয়াল দিয়েছেন মাত্র ১ রান। নিয়েছেন ১ উইকেট। যার নিটফল, প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হন রুতুরাজরা।
এই উইকেটে ২০০ করাটা কঠিন ছিল না
ম্যাচের পরে রুতুরাজ গায়কোয়াড় স্বীকার করে নিয়েছেন যে, বেঙ্গালুরুতে ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট অনুকূল ছিল। তবে স্পিনাররা কিছুটা সুবিধে পেয়েছেন। রুতুর দাবি, ‘এটি একটি ভালো উইকেট ছিল। স্পিনারদের জন্য বল অবশ্য কিছুটা ঘুরছিল এবং কিছুটা গ𒁃্রিপ করছিল। তবে আমি মনে করি এই মাটিতে ২০০ করাটা কঠিন ছিল না। তবে আমরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকি। দু'একটা বড় হিটের ব্যাপার ছিল। কখনও কখনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এমন হতেই পারে। লক্ষ্য কী ছিল তা নিয়ে আমি বেশ খুশি। মরশুমের সংক্ষেপে, আমরা ১৪টির ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে জিতেছি। এতে খুশি। শুধু শেষ দুই বল বাউন্ডারি লাইনের উপর দিয়ে যেতে পারেনি, এটাই যা সমস্যা।’
চোট পার্থক্য গড়ে দিল
‘চোটের কারণে দু'জন প্রধান বোলারকে মিস করেছি। সেই সঙ্গে কনওয়ের মতো টপ অর্ডার ব্যাটারকে পাইনি। আমি মনে করি, তিন জন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে মিস করাটা অনেক বড় পার্থক্য করে দিয়েছে। তবে কৃতিত্ব দিতে হবে সিএসকে স্টাফদের এবং প্রত্যেককে, যারা আমাদের জন্য পুরো সিজন জুড়ে দুর্দান্ত ভাবে আমাদের পাশে ছিল। প্রথম ম্যাচ থেকেই আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। ফিজের চোট (মুস্তাফিজুর), তার পর পাথিরানারও চোট হয়ে যায়, ও ফিরে এলেও, ফের ও ছিটকে যায়। এত চোট থাকলে, দলে ভারসাম্য রাকাটা কঠিন হয়ে যায়। এবং🔜 প্রতিটি ম্য়াচের জন্য টিম আলাদা করে বেছে নিতে হয়।’
সঙ্গে রুতু যোগ করেছেন, ‘এই মরশুমে চোট এবং প্লেয়ারদের যাবতীয় অসুস্থতা বিবেচনা করে আমাদের প্লেয়িং ইলেভেন বাছতে হয়েছে। সাত ꦰম্যাচ জেতায় খুশি, যদিও আমরা প্লে-অফে পৌঁছতে পারিনি। গত বছর আমাদের শেষ নকআউট ম্যাচে আমরা শেষ ২ বলে ১০ রান করেছিবাম, এটি✱ও একই রকম পরিস্থিতি ছিল, যদিও এই মরশুমে তা কার্যকরী হয়নি।’
ম্যাচ জেতাটাই আসল
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়, রুতুর কাছে গুরুত্বপূর্ণ দলের জয়🍌ই। যে কারণে তিনি দাবি করেছেন, ‘আমার জন্য, ব্যক্তিগত মাইলস্টোনগুলি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসল বিষয় হল, ম্যাচ জেতাটা। যদি সেটা না জিততে পারেন, তবে সেটা হতাশার। এর মরশুমে ১০০ রান করলেন, নাকি ৫০০-৬০০, তাতে কিছু যায় আসে না। আমি সত্যিই হতাশ।’