Mohammed Siraj and Paras Mhambrey: বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিপজ্জনক বোলিং করলেন টিম ইন্ডিয়ার ফাস্ট পেসার মহম্ম🦩দ সিরাজ। কেপটাউনে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫৫ রানে অলআউট করার পিছনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ৯ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। এটাই সিরাজের টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স। ভারতের বোলিং কোচ পরশ মামব্রের সঙ্গে কথোপকথনের সময় সিরাজ তাঁর ঘাতক পারফরম্যান্সের রহস্য ফাঁস করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে যে ভুলটা তিনি করেছিলেন সেটা আর পুনরাবৃত্তি করতে চাননি তিনি। কেপ টাউনে সাফল্যের রহস্যের পিছনে যে সেঞ্চুরিয়েনর শিক্ষা রয়েছে সে কথা জানাতে ভোলেননি মহম্মদ সিরাজ।
বর্তমানে মহম্মদ সিরাজ ও পরশ মামব্রেয়ের ভিডিয়ো শেয়ার করেছে বিসিসিআই। এই ভিডিয়োত দেখা যাচ্ছে মহম্মদ সিরাজকে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন পরশ মামব্রে। এই 🌜সময়ে সিরাজকে তাঁর বোলিং কোচ জিজ্ঞাসওা করেন শেষ খেলার পর আপনার চিন্তাভাবনা কী ছিল? দ্বিতীয় টেস্টে আপনি কী ভিন্নভাবে শুরু করেছিলেন, যেটা আপনাকে ভালো পারফরম্যান্স করতে সাহায্যে করেছিল? সিরাজ এই প্রশ্নের উত্তর বলেন, ‘শেষ খেলায় যখন ইনিংসের শেষ হয়েছিল, তখন আমি বুঝতে পেড়েছিলাম যে অনেক বেশি রান দিয়ে ফেলেছি। তখনই বুঝতে পারি যে আমি খুব বেশি নতুন কিছু করার চেষ্টা করে ফেলেছি। আমার টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার ২৪তম ওভারে মেডেন এসেছিল। তখন বুঝলাম কোথায় ভুল করেছি। আমি আমার বোলিংয়ের ভিডিয়ো দেখিনি, কারণ আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে বোলিং করার সময়ে আমি ভুলটা কোথায় করেছি।’
মহম্মদ সিরাজ আরও বলেন, ‘আমি তখন বুঝতে পেরেছিলাম যে পরের ম্যাচে কোন ভুলটা করা💧 চলবে না। আমি এটা ধরে রেখেছিলাম এবং ফলাফল পেয়েছি।’ বলে দেওয়া যাক যে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে ভারতকে ইনিংস এবং ৩২ রানে হারের মুখে পড়তে হয়েছিল। ম্যাচে ২৪ ওভারে ৯১ রান খরচ করে ২ উইকেট নিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। একই সময়ে, পরশ মামব্রে যখন সিরাজকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে সকালে পিচ দেখে তাঁর কী মনে হয়েছিল? তাঁর কি মনে হয়েছিল আফ্রিকান দল ৫৫ রানের মধ্যে গুটিয়ে যাবে? এর উত্তর দিতে গিয়ে ভারতের ফাস্ট বোলার বলেন, ‘আমি ভাবিনি এমনটা হবে। সত্যি বলতে টেস্টে বোলিংয়ে পার্টনারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার এবং জাসি ভাইয়ের (জসপ্রীত বুমরাহ) মধ্যে জুটি ভালো গড়ে উঠেছিল। তিনি চাপ তৈরি করেছিলেন এবং আমি উইকেট পেয়েছি।’