বৃহস্পতিবার ওয়ান্ডারার্সে সূর্যোদয় হল। আর তার 🍷ছটায় চোখে শর্ষেফুল দেখল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আরও একটি দুরন্ত ইনিংস খেললেন সূর্যকুমার যাদব। করে ফেললেন টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে তাঁর চতুর্থ সেঞ্চুরি। মাত্র ৫৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সেরা ব্যাটার। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৮টি ছয় এবং ৭টি চারে। ৫৬ বলে ১০০ রান করে আউট হন সূর্য। তবে ততক্ষণে শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে গিয়েছে ভারতের ইনিংস। সূর꧙্যের সেঞ্চুরির হাত ধরেই ভারত ২০০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারে। স্কাই টি-টোয়েন্টির সেরা ব্যাটার কেন, তা এদিন আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ভারতের তরী পার করেছিলেন সূর্য। তাঁকে সঙ্গত করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। আর দ্বিতীয় ইনিংসে কুলদীপ যাদবের দাপটে প্রোটিয়া ব্যাটাররা মুখ থুবড়ে পড়েন। কুলদীপকে সঙ্গত করেন আবার রবীন্দ্র জাদেজা। কুল-জা জুটিতে এদিন কেঁপে যায় প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডার। তারা ১০০ রানও করতে পারেনি। ভারতের দেওয়া ২০২ রান তাড়া করতে 🤪নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়ে যায় ৯৫ রানে। ১০৬ রানে বিশাল জয় পেয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারত। প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। দ্বিতীয়টিতে জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজটি ১-১ ড্র করে, ღনিজেদের মান বাঁচাল ভারত।
এদিন টস জিতে টিম ইন্ডিয়াকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন এডেন মার্করাম। শুরুতে সাফল্যও পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত। আবার♕ ব্যর্থ শুভমন গিল। ২টি চার মেরে শুরু করলেও, মাত্র ৬ বল ক্রিজে🎀 টেকেন। ৮ রানে কেশব মহারাজের বলে এলবিডব্লিউ হন। প্রথম বলেই শূন্য রানে ফেরেন তিলক বর্মা। একই ওভারে ব্যাক টু ব্যাক উইকেট পান প্রোটিয়া স্পিনার। প্রথম ৩ ওভার বাদ দিলে অবশ্য বাকি সময়টা ভারতেরই।
যশস্বী জয়সওয়াল এবং সূর্যকুমার যাদব মিলে তান্ডব শুরু করেন। তৃতীয় উইকেটে ১১২ রান যোগ করেন যশস্বী-সূর্য মিলে। চার-ছয়ের বন্যা বয়ে যায় ওয়ান্ডারার্সে। ৩৪ বলেই হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন ভারতীয় ওপেনার। ৩টি ছয়, ৬টি চারের সাহায্যে ৪১ বলে ৬০ রান করে আউট হন যশস্বী। এদিকে আগের দিন যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করেন সূর্য। তাঁর ব্যাট থেকে এল ছক্কার ফুলঝুরি। মাঠের চারদিকে বড় শট হাঁকান মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি। ৩২ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান। পরের ২৩ বলে আরও ৫০ রান যোগ করেন। ভারতের ইনিংসের শুরুটা ভালো না হলেও, ১০ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে ঝড় তোলেন সূর্য। শতরান করার পরের বলেই অবশ্য সাজঘরে ফিরে য𒊎ান। এদিন নিরাশ করলেন রিঙ্কু সিং। ১০ বলে ১৪ রানে আউট হয়ে যান তিনি। দলের বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছতে পারেননি। শেষ ওভারে ৩ উইকেট না হারালে ভারতের রান আরও বাড়ত।
সেই রান তাড়া করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং। কুলদ𓄧ীপ যাদব এবং রবীন্দ্র জাদেজার স্পিন সামলাতেই পারল না প্রোটিয়ারা। ২.৫ বলে🍰 মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে কুলদীপ একাই পাঁচ উইকেট তুলে নেন। অন্য দিকে জাদেজা নেন দুই উইকেট। শুরু থেকেই এদিন ভারতীয় বোলাররা ভালো বোলিং করেছেন। মহম্মদ সিরাজ প্রথম ওভারই কোন রান দেননি। দ্বিতীয় ওভারে আবার মুকেশ কুমার ফেরান ম্য়াথিউ ব্রিৎজকে। ৩ বলে ৪ করে তিনি বোল্ড হন। তৃতীয় ওভারে অবশ্য ধাক্কা খায় ভারত। রিজা হেন্ডরিক্সের শট বাঁচাতে গিয়ে গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সূর্যকুমার। এর পরে দলকে নেতৃত্ব দেন রবীন্দ্র জাদেজা। পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৪২ রানে ৪ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
আসলে পিচ থেকে এদিন সুবিধে পায় ভারতীয় স্পিনাররা। উইকেটের ফায়দা তোলেন ভারতের দুই স্পিনার। ৭ উইকেট ভাগ করে নেন কুলদীপ এবং জাদেজা মিলে। টি-২০ তে সেরা বোলিং চায়নাম্যানের। জন্মদিনের দিন এই নজির গড়লেন কুলদীপ। ভারতীয় স্পিন জুটির সমানে দাঁড়াতেই পারেনি প্রোটিয়া ব্যাটাররা। মার্করাম ১৪ বলে ২৫ রান করে জাদেজার বলে ক্যাচ আউট হন। সর্বোচ্চ রান করেন ডেভিড মিলার। ২৫ বলে ৩৫ রান তাঁর। বোল্ড করেন কুলদীপ যাদব। তবে জাদেজার বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানের মাথায় মিলার আউট হতে পারতেন। জাদেজার বলে ক্যাচ বিহাইন্ড হয়েওছিলেন। তবে জাড্ডুর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য ডিআরএসের সুবিধা পায়নি ভারত। পরে টিভি রিভিউতে দেখা যায় খোঁচা মেরেছিলেন বাঁ-হাতি ব্যাটার। নিশ্চিত আউট। স💖িদ্ধান্ত ভারতের পক্ষে গেলে হয়তো আরও লজ্জার মুখে পড়তে হত প্রোটিয়াদের। এছাড়া ১১ বলে ১২ করেন ডোনোভান ফেরেরা। প্রোটিয়াদের বাকিরা এক অঙ্কের ঘরেই গড়াগড়ি🐻 খেয়েছেন। ঘরের মাঠে ভারতের কাছে ১০৬ রানে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকা লজ্জায় নিজেদের মুখ পোড়াল।