ওয়ানডে বিশ্বকাপে এবার রীতিমতো নিরাশ করেছে পাকিস্তান। সেই হতাশাজনক অভিযানকে পেছনে ফেলে নতুন লক্ষ্যে ফের ২২ গজে ঘুরে দাঁড়াতে চ𓂃ান শাহিন শাহ আফ্রিদি, বাবর আজমরা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যে তাঁরা ক্যাঙ্গারুর দেশে পৌঁছেও গিয়েছেন। ১৪ ডিসেম্বর-৭ জানুয়ারি পাক ব্রিগেড ৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে অজিদের বিরুদ্ধে।
বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান দলে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে পুরো রদবদল হয়েছে। বাবর আজমকে সরিয়ে সাদা বলের ক্রিকেট এবং টেস্ট ক্রিকেটের জন্য আলাদা আলাদা অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়েছে। এর পরেই অজি🔴দের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে পাকিস্তান। তবে অজিদের বিরুদ্ধে প্রথন টেস্টের আগে শান মাসুদের নেতৃত্বাধীন দলটি একটি অনুশীলন ম্যাচও খেলবে। যে কারণে তারা এক সপ্তাহেরও বেশি আগে সিডনি পৌঁছে গিয়েছে। পাꦡকিস্তান বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে তাদের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়েই এই সিরিজ খেলতে নামবে। অস্ট্রেলিয়া আপাতত চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ🃏েষ ওভ𒐪ারে বাজিমাত করলেন আর্শদীপ, রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়ে ৪-১ করল ভারত
তবে এই সিরিজের আগে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায༒় ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছিল। এবং সেটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় হয়ে যায়। আসলে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে। আসলে সিডনি বিমানবন্দরে কনটেইনার ট্রাকে পাক ক্রিকেটারদের নিজেদের লাগেজ নিজেদেরকেই লোড করতে দেখা গিয়েছিল। এই ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড এবং পাকিস্তান বোর্ডের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন ক্রিকেট সমর্থকেরা। সেই ঘটনার দু’দিন পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন দলের পেসার শাহিন আফ্রি🌱দি। জানালেন, পরের বিমান ধরার তাড়ার কারণেই তাঁদের এই কাজ করতে হয়েছে।
রবিবার ক্যানবেরায় পাকিস্তানের প্রথম অনুশীলন সেশনের আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বল♑ার সময়ে শাহিন আফ্রিদি জানান, তাদের পরবর্তী𒆙 ফ্লাইটটি ধরতে হত ৩০ মিনিটের মধ্যে। আর তার জন্যই তাঁরা সময় বাঁচাতে একে অপরকে সাহায্য করেছে। শাহিন বলেছেন, ‘আমাদের পরবর্তী ফ্লাইট ধরার জন্য হাতে মাত্র ৩০ মিনিট সময় ছিল। তাই আমরা একে অপরকে সাহায্য করেছি। কারণ সেখানে মাত্র দু'জন লোক ছিল। আমরা এটি দ্রুত শেষ করতে এবং সময় বাঁচাতেই চেয়েছিলাম। আমরা এই দলটিকে একটি পরিবার বলি এবং একটি পরিবার হিসাবেই একে অপরকে সাহায্য করেছি।’
অস্ট্রেলিয়ায় কখনও টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি পাকিস্তান। ১৯৭৯ সালে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ তারা ড্র করেছিল। এটা ছিল অস্ট🦩্রেলিয়ায় গিয়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে ভালো ফলাফল। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয🙈়ায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান শেষ বার টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল ১৯৯৫ সালে। তারা সেখানে পরপর ১৪টি ম্যাচ হেরেছে।