বাংলাদেশের নতুন হেড কোচ নিযুক্ত হয়েছেন ফিল সিমন্স। আগের কোচ চন্ডিকা হাথুরাসিংহের চাকরি যাওয়ার পর আগামী ৫ মাসের জন্য টাইগারদের সামলানোর গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ঘরে এবং বাইরে অস্থির পরিবেশ চলছে। এরকম অবস্থায় দলের খেলোয়াড়দের মনোযোগ ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনার ব্যাপার꧅ে বিশেষ জোর দিচ্ছেন তিনি। এর আগে সিমন্স দু’বার বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু তখন সেই সুযোগ পাননি তিনি। আগামী ২১ অক্টোবর ♏থেকে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম বাংলাদেশ-সাউথ আফ্রিকা ম্যাচ। তার আগে জোরকদমে প্র্যাক্টিসে ব্যস্ত গোটা দল।
শনিবার প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে হেড কোচ ফিল বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনের জন্য আমাদের কাজের বড় অংশ, খেলোয়াড়দের ক্রিকেটের বাইরের দিকে নয়, ক্রিকেটে ফোকাস করা নিশ্চিত করা। সোমবারের জন্য আমরা কীভাবে প্রস্তুতি নেব তা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, এভাবেই আমরা দলকে ফোকাস করার চেষ্টা করছি’। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সামনের ꦉগুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমরা যদি আগামীতে কয়েকটি টেস্ট ম্যাচ জিততে পারি, তাহলে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার দাবিদার হব আমরাও। আমার প্রধান লক্ষ্যই ক্রিকেট, সোমবারের জন্য দলকে প্রস্তুত করে তোলাই আমার কাজ। কোচ হিসেবে গত দু’দিন আমার খুবই ভালো গেছে। আমাদের এখন ক্রিকেটের বাইরে কী চলছে সেটা ভুলে সোমবারের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে’।
বাংলাদেশের নতুন কোচ জানান, বিভিন্ন দেশে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা তাঁকে এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ‘আগের সব অভিজ্ঞতা আমার সোমবারের ম্যাচে কাজে লাগবে। আফগানিস্তান আমাকে ভাষা জটিলতার চ্যালেঞ্জ সামলে কাজ করা শিখিয়েছে। আয়ারল্যান্ডে কাজ করে বুঝেছি কীভাবে তরুণদের গড়ে তুলতে হয়। সব কিছুই এখানে কাজে লাগবে। আমার♊ দর্শন হল, কঠোর পরিশ্রম করলে ফল আসবেই। আমি গত দু’দিনে দেখেছি দলের ছেলেদের কঠিন পরিশ্রম করতে। এই শেষ দু’দিন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট’।
কী দেখে তিনি বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সিমন্স বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের দেখে আমার এই সিদ্ধান্ত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খুব ভালো খেলেছে। তারা টি-২০তে ভারতের বিরুদ্ধে ভালো করেনি ঠিক, কিন্তু তারা এই ফরম্যাটে বিশ্বের সেরা দলের বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলেছে। সেখান থেকে শেখার ছিল অনেক কিছু। প্রথমত, আমি তরুণদের গড়ে তুলতে চাই। পাশাপাশি এখানে টেস্ট ও ওয়ানডেতে কাজ করার সুযোগও আছে।ꩵ সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল না’। ফিল সিমন্স মনে করেন কোচ হওয়𒁃াটা সবসময় চ্যালেঞ্জের। তিনি বলেন, ‘সব আন্তর্জাতিক কোচের চাকরিই চ্যালেঞ্জের। বাংলাদেশে এক রকম, পাকিস্তানে অন্য রকম। আমার জন্য ক্রিকেটারদের উপভোগের মঞ্চ গড়ে দেওয়া, ম্যাচ জেতাটাই গুরুত্বপূর্ণ। আসনটা চ্যালেঞ্জের নয়। গত দু’দিন বেশ উপভোগ্যই ছিল’।