শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা বলেছেন যে আম্পায়ার লিন্ডন হꦺ্যানিবালের নিজেকে নিয়ে আরও কিছু কাজ করা উচিত। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ওভারে লিন্ডন হ্যানিবাল একটি হাই ফুল টস বলকে নো-বল দেননি। এই সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না হাসারাঙ্গা। শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা এই ঘটনার পরে আম্পায়ার লিন্ডন হ্যানিবলকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
হাসরাঙ্গা বিষয়টি নিয়ে অনেক সমালোচনা করেন। যদিও তিনি লিন্ডন হ্যানিবালের নাম নেননি। এ বিষয়ে হাসরাঙ্গা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়। কোমরের উচ্চতার খুব কাছাকাছি হলে সমস্যা নেই, তবে বলটি খুব উঁচুতে ছিল। যদি একটু বেশিও হতো তাহলে বলটি ব্যাটসম্যানকে আঘাত করত। এটা ব্যাটারের মাথায়ও আঘাত করতে পারত। তিনি যদি সেটাই না দেখতে পান, তাহলে সে আম্পায়ার আ🐽ন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত নন। তিনি অন্য কিছু করলে ভালো হবে।’ যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন শেষ তিন বলে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ১১ রান। এই বলটিকে ন্যায্য বলে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং কামিন্দু এই ফুল টসে কোনও যোগাযোগ করতে পারেনি, যার পরে শেষ দꦺুটি বলে ১১ রানের প্রয়োজন ছিল।
আম্পায়ার এটিকে ন্যায্য বল বলে ঘোষণা করার পর কামিন্দু নো বল চেয়ে রিভিউ চান। তবে আইসিস💖ির নিয়ম অনুযায়ী খেলোয়াড়রা এই ধরনের বলের রিভিউ নিতে পারবেন না। একজন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলেও তিনি এমন সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করতে পারেন না। এমনকি আম্পায়ার নিজেও নো বল রিভিউয়ের জন্য তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যেতে পারেন না যদি না এটি আউটের ঘটনা হয়।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা বলেন, ‘আগে এমন একটা পরিস্থিতি𒉰 ছিল যে আপনি এই ধরনের ক্ষেত্রে রিভিউ নিতে পারতেন কিন্তু আইসিসি তা সরিয়ে দিয়েছে। আমাদের ব্যাটসম্যান রিভিউ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তৃতীয় আম্পায়ার যদি পায়ে নো বল দেখতে পান তাহলে, তার উচিত ছিল এটাকেও বিবেচনা করা ও এটা নো বল ছিল কিনা সেটা দেখা উচিত ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোন ধরনের নো বলও দেখা উচিত। কেন তারা এটা করতে পারবে না তার কোনও কারণ নেই। আমি জানি না তখন আম্পায়ারের মনে কি চলছিল।’ আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, পিচ না করে ব্যাটসম্যানের কোমরের ওপর দিয়ে যাওয়া যে কোনও বলই নো বল হবে। শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি তিন রানে হেরে যায় এবং আফগানিস্তান এই সফরে তাদের প্রথম জয় পায়। সিরিজটি শ্রীলঙ্কা ২-১ ব্যবধানে জিতেছে।