ভারত-নিউজিল্যান্ড ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ চলছে বর্তমানে। যার মধ্যে ২টি টেস্ট ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। দু’টিতেই জয় পেয়েছে কিউয়িরা। বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টে ৮ উইকেটে পরাজিত হয় রোহিতরা। পুণেতে দ্বিতীয় টেস্টেও ১১৩ রানে হারতে হয় তাদের। এখনও বাকি রয়েছে আরও একটি ম্যাচ। যা শুক্রবার থেকে শুরু হবে মুম্বইয়ে। পরপর ২টি টেস্ট ম্যাচ জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার আশা পুনরুজ্জীবন হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। বৃহস্পতিবার সেরকমই বার্তা দিলেন ন💜িউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম লাথাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়া বড় পাওনা হবে। তবে তার আগে আমাদের প্রতিটি ম্যাচে ফোকাস করতে হবে’।
বর্তমানে ICC বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত। তাদের পয়েন্ট পার্সেন্টেজ ৬২.৮২। পঞ্চম স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাদের পয়েন্ট পার্সেন্টেজ ৫০। পরপর দুটি টেস্টে হারের পর ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা কঠিন হয়ে পড়েছে ভারতের জন্য। এবার দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ রয়েছে নভেম্বরে। বলার অপেক্ষা রাখে না সেই লড়াই কতটা কঠিন হবে। ভারত এর আগে দু’বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিল। যেখানে তারা অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়। লাথাম বলেন, ‘আগে একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় 🐭জয়ের স্বাদ কেমন হয় তা জানা আছে। আমার মনে হয় সাফল্য এমন একটা জিনিস যা আপনি বারবার পেতে চাইবেন’। ভারতে ভারতকেই স্পিনে মাত দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। পুণেতে মিচেল স্যান্টনারের ঘূর্ণি সামলাতে ব্যর্থ হয় ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। তবে কিউয়ি অধিনয়ক মনে করেন, ‘ভারত যথেষ্ট ভালো দল, দুটো হার তাদের রাতারাতি খারাপ করে দেবে না’।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ হারের আগে ঘরের মাঠে টানা ১৮ সিরিজে অপরাজিত ছিল ভারত। এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও সিরিজে জয় পেয়েছিল রোহিতরা। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ভারতে এসে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে। বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টে কামাল দেখায় তাদের পেসাররা। অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন ম্যাট হেনরি। ২ ইনিংস মিলিয়ে ৮টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় টেস্টে কামাল দেখান স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। দ্বিতীয় টেস্টে তিনি ২ ইনিংস মিলিয়ে ১৩ উইকেটি নেন। এখন কিউয়িদের নজর ভারতের মাটিতে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করা। মুম্বইয়ের উইকেটে কেমন হবে তা সময় বলবে, কিন্তু নিউꦑজিল্যান্ড যে লড়াই দেওয়ার পুরো চেষ্টা করবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।