লাল-বলের ক্রিকেটে ভারতীয় খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে, বিসিসিআই-এর ‘ইনসেন্টিভ স্কিম’-এর প্রশংসা করেছেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর। পাশাপাশি তিনি সুপারিশ করেছেন যে, রঞ্জি ট্রফিতে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের ফি-কেও যেন দ্বিগুণ বা তিনগুণ করা হয়। যাতে রঞ্জি খেলতেও উৎসাহ বোধ করেন ক্রিকেটাররা। প্রসঙ্গত, বিসিসিআই♒ সম্প্রতি রঞ্জি ট্রফিতে অংশগ্রহণ না করার জন্য কয়েক জন খেলোয়াড়কে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দিয়েছেন।
শুক্রবার গাভাসকর তাঁর ফাউন্ডেশন ‘CHAMPS’-এর ২৫তম বার্ষিকী উদযাপনের সময় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি মনে করি, রাহুল দ্রাবিড় (ভারতীয় প্রধান কোচ) যা বলেছিলেন, যখন ধর্মশালায় ই💎নসেন্টিভ স্কিম ঘোষণা করা হয়েছিল, তিনি এটিকে পুরস্কার বলেছিলেন। যারা খেলবে, তাদের পুরস্কৃত করা বিসিসিআই একটি দুর্দান্ত বিষয়। তবে আমি বিসিসিআই-কে বলব, টেস্ট দলের যেটা ফিডার, সেই রঞ্জি ট্রফির কথাও ভাবতে। যদি রঞ্জি ট্রফির ফি দ্বিগুণ বা তিনগুণ করা যায়, তবে অনেক বেশি প্লেয়ার রঞ্জি ট্রফি খেলবে। এবং অনেক কম প্লেয়ার সরে দাঁড়াবে। কারণ রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের পারিশ্রমিক ভালো হলে, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর হার কমবে। সকলꦑেই তখন রঞ্জি ট্রফি খেলতে চাইবে। সকলেই স্ল্যাব সিস্টেমে খেলতে চাইবে- প্রতি ১০টি প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচে অনেক বেশি টাকা পাওয়া গেলে প্রত্যেকের আগ্রহ বাড়বে। তাই আমি বিসিসিআইকে সেই দিকটিও দেখার জন্য অনুরোধ করব।’
গাভাসকর ভারত ও মুম্বইয়ের পেস বোলিং অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুরের বিবৃতিকে সমর্থন করেছেন। শার্দুস দাবি করেছিলেন, রঞ্জꦇি ট্রফির ম্যাচগুলির সূচি অনুযায়ী, বর্তমানে যে🅰 ব্যবধান রয়েছে, সেটা আরও বাড়ানো দরকার। প্লেয়ারদের চোট কমাতে মাত্র তিন দিনের সময় যথেষ্ট নয়।
গাভাসকর বলেছেন, ‘এটি এমন কিছু যা বিবেচনা করা উচিত, কারণ আপনার একটি পরিস্থিতি থাকতে হবে... তিন দিনের ব্যবধানে খেলা হলে সমস্যা। বাইরে ম্যাচ হলে, ভ্রমণেই একটি দিন 🐽চলে যাবে। এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যেতে হলে, ফিজিয়োর কাছে সাহায্য নেওয়ার জন্য তাঁর কাছে যাওয়ারও সময় থাকে না।’
গাভাসকর সুপারিশ করেছেন যে, রঞ্জি ট্রফি যদি অক্টোবর থেকে মধ্য ডিসেম্বরের মধ্যে খেলা💝 হয়, তাতে খেলোয়াড়রা জানুয়ারি 𝔉থেকে সাদা বলের টুর্নামেন্টে আইপিএলের জন্য অনুশীলন করতে পারে।
তাঁর দাবি, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হল, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত রঞ্জি ট্রফি হবে এবং তার পরে সাদা বল🥃ের টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি শুরু হবে। এই ভাবে ভারতের হয়ে যারা খেলবে, তারা ছাড়া সবাই খেলার জন্য উপলব্ধ থাকবে। কোনও অজুহাত থাকবে না। জানুয়ারি থেকে ওয়ানডে শুরু হওয়ার সাথে সাথে যারা আইপিএলে আছে, তারা পর্যাপ্ত অনুশীলন করতে পারবে।’