শুভব্রত মুখার্জি: সামনের জুন মাস থেকেই শুরু হয়ে যাবে টি-২০ বিশ্বকাপ।এবারের বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানে। এই বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের অন্যতম দাবিদার ভারতীয় দল। ইতিমধ্যেই এই বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে ভাღরতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। যার প্রতিধ্বনি কার্যত শোনা গিয়েছে ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের গলাতেও। এমন আবহে টিম কম্বিনেশন কী হবে সেই নিয়ে একটা জল্পনা রয়েই গিয়েছে। ঋষভ পন্তের অনুপস্থিতিতে কিপার ব্যাটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কেএল রাহুল। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এই ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। ব্যাট বা গ্লাভস হাতে তাঁর পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। এমন আবহে দাঁড়িয়ে কিংবদন্তি প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর মনে করেন যদি ঋষভ পন্ত সুস্থ থাকেন, একপায়ে দাঁড়িয়ে খেলার মতন আধা ফিটও থাকেন, তাহলেও পন্তকেই কিপার ব্যাটার হিসেবে খেলানোর উচিত। এই বিষয়ে রাহুলের থেকে পন্তকেই এগিয়ে রাখছেন গাভাসকর।
স্টার স্পোর্টসে 'গেম প্ল্যান' নামক এক অনুষ্ঠানে সুনীল গাভাসকর জানিয়েছেন, 'আমি ওঁকে ও (কেএল রাহুল) একজন কিপার ব্যাটার হিসেবেই দেখছি। তবে তার আগে আমি একটা কথা বলতে চাই- যদি ঋষভ পন্ত ফি꧑ট থাকে। যদি একপায়েও খেলার অবস্থায় থাকে তাহ🐎লেও ওঁকে দলে রাখা অবশ্যই উচিত।কারণ যে কোন ফর্ম্যাটে ঋষভ পন্ত একজন গেম চেঞ্জার। আমি যদি নির্বাচক হই তাহলে আমি নিঃসন্দেহে ওঁর নাম সবার আগে দলে রাখতাম। কারণ ওঁর খেলার ধরনটাই আলাদা। অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে ও। কয়েক বলের ব্যবধানে ম্যাচের রঙও বদলে দিতে পারে।'
তিনি আরও যোগ করে বলেন, 'তবে যদি ঋষভ পন্তকে না পাওয়া যায় তাহলে আমি বলব যে কেএল রাহুলকে দিয়েই উইকেট কিপিং করানো উচিত। তবে রাহুল কিপিং করলে ভালোই হবে। কারণ ও কিপিং করলে দলের ভারসাম্য অনেকটাই রক্ষা পাবে। তখন ওঁকে ওপেনার হিসেবে খেলানোর একটা সুযোগও থাকছে। পাশাপাশি ওঁকে মিডল অর্ডারেও খেলানো যেতে পারে। পাঁচ বা ছয় নম্বরে ওঁকে ব্যাটিং করানো যেতে পারে। রাহুল একজন অলরাউন্ডার। ও নিজের কিপিংয়ের দারুণ উন্নতি ঘটিয়েছে। প্রথমে যখন ও কিপিং করত তখন ওঁকে দেখে মনে হত যেন অনিচ্ছা নিয়েই কিপিং করে। এখন কিন্তু ওঁকে দেখে মনে হয়💟 ও কিপিংটা যথেষ্ট উপভোগ করে। এখন ও একজন প্রকৃত ক্রিকেটার। দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে জায়গা নিয়ে লড়াই থাকাটা ভালো। এতে দলের ভালোই হয়।'