মুস্তাক আলি ট্রফিতে ফের হারের মুখ দেখল বাংলা। প্রথম ম্যাচে তারা হার দিয়ে মুস্তাক অলি ট্রফির অভিযান শুরু করে লক্ষ্মীরতন শুক্লার ছেলেরা। প্রথম ম্যাচ মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হারলেও পরের ম্যাচে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। সেই জয়ের ধারা অব্যাহত থাকে। কিন্তু ফের একবার ধাক্কা খেতে হল বঙ্গ ব্রিগেডকে। এবার বিদর্ভের বিরুদ্ধে আটকে♋ গেল সুদীপ ঘরামির দল। বড় রান করেও রেহাই পাওয়া গেল না।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। এদিন অভিমন্যুর সঙ্গে ওপেন করতে মাঠে নামেন অভিষেক পোড়েল। এই ম্যাচে রান পান অভিমন্যু। গত কয়েক ম্যাচ ধরেই তিনি সেই ভাবে রান পাচ্ছিলেন না। এবার রানের মধ্যে ফিরলেন তিনি। বিদর্ভের বিরুদ্ধে করলেন ৩৩ বলে ৬০ রান। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি বাউন্ডারি এ𒈔বং ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে।
শুধু অভিমন্যু একা নন, একই সঙ্গে এই ম্যাচে বড় রান করেন অভিষেক পোড়েল। বাংলার তরুণ এই ব্যাটার করেন ৩০ বলে ৪৩ রান। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টিღ বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্ܫযে। গত ম্যাচেও রান পান অভিষেক। সেই ধারা আজও তিনি বজায় রাখেন। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে শুরুটা বেশ ভালো করে বাংলা। এই ম্যাচে নতুন ক্রিকেটার হাবিব গান্ধী ১৫ বলে ২৮ রান করে ফিরে যান ৩টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলা তোলে ২১২ রান। দুর্দান্ত বোলিং করেন বিদর্ভের উমেশ যাদব। ৪ ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। এছাড়াও অক্ষয় ৩ উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিদর্ভ যে শুরুটা ভালো করেছে, তা একেবারেই বলা যাবে না। কারণ ধ্রুব সোরে মাত্র ৬ রান করে ফিরে যান। এরপরই ম্যাচের পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। অথর্ব এবং করুন নায়ার চালিয়ে খেলতে শুরু করেন। বিশেষ করে করুন নায়ার। মাত্র ৫২ বলে করেন ৯৫ রান। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৩টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়াও শুভম দুবে মাত্র ২০ বলে অপরাজিত ঝোড়ো ৫৮ রান করেন ৩টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। মাত্র ১৭.৫ ওভারেই ২১৪ রান তুলে নেয় বিদর্ভ। সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় তারা। বাংলার হয়ে আকাশ দীপ, ইশান পোড়েল এবং শাহবাজ একটি করে উইকেট নে🦹ন। বড় রান করেও বোলিং ব্যর্থতার জন্য হারতে হল বাংলাকে।