দীর্ঘ সাত বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে সাত বছর পর রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল তামিলনাড়ু। সোমবার তামিনাড়ুতেই চূড়ান্ত লিগ পর্বের ম্যাচে পঞ্জাবকে হ🐼ারিয়ে নকআউটে নিজেদের পাকা করল তাম🐟িলনাড়ু। সালেম ক্রিকেট ফাউন্ডেশন গ্রাউন্ডে এদিন পঞ্জাবকে নয় উইকেটে হারায় তামিলনাড়ু। শেষ বার ২০১৬-১৭ মরশুমে তামিলনাড়ু রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। এর পর ফের এই মরশুমে নকআউটে উঠল তারা।
পঞ্জাবকে ম্যাচের শুরু থেকেই চাপে রেখেছিল সাই কিশোরের দল। প্রথমে ব্যাট হাতে, তার পর বল হাতে। টস জিতে প্রথমে ব্যা🅷টিং নিয়েছিল তামিলনাড়ু। আর তারা তাদের প্রথম ইনিংসেই ৪৩৫ রানের পাহাড় গড়ে ফেলে। বাবা ইন্দ্রজিৎ দুরন্ত ছন্দে ১৮৭ রানের ইনিংস খেলেন। বিজয় শঙ্করও সেঞ্চুরি হাঁকান। করেন ১৩০ রান। এর বাইরে অবশ্য সেভাবে আর কোনও ব্যাটার খুব বড় রান করতে পারেননি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৭ র🀅ান করেন মহম্মদ আলি। পঞ্জাবের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সুখবিন্দর সিং।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় পঞ্জাব। অনমোল মালহোত্রা অপরাজিত ৬৪ রান করেন। এটাই এই ইনিংসে পঞ্জাবের 💝ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান। এছাড়া নেহাল ওয়াধেরা ৪৩ রান করেন। ৪১ করেন অনমলপ্রীত সিং। ৩৯ করেন সনভীর সিং। তামিলনাড়ুর অজিত রাম একাই ৬ উইকেট তুলে নেন। সাই কিশোর নেন ২ উইকেট।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডকে যশবল! সুইং কিং অ্যান্ডারসনকে পরপর ৩ বলে ছক্কা যশস্বীর, ম🎀িস করে থাকলে দেখুন ভিডিয়ো
এর পর পঞ্জাবকে ফলোঅন করানোর সুযোগটা হাতছাড়া করেনি তামিলনাড়ু। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও পঞ্জাব সেভাবে কিছু করে উঠতে পারেনি। তারা ২৩১ রানে অলআউট হয়🐠ে যায়। এই ইনিংসে নেহাল ওয়াধেরা ১০৯ রানের একটি নজর কাড়া ইনিংস খেলেও, দলকে বাঁচাতে পারেননি। কারণ বাকি ব্যাটাররা সেভাবে কিছু করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন অভিষেক শর্মা। তাও মাত্র ৩৬ রান। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। দুই ইনিংস মিলিয়ে পঞ্জাবের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫০৫ রান। মাত্র ৭০ রানের লিড পায় পঞ্জাব। এই ইনিংসে তামিলনাড়ুর অধিনায়ক সাই কিশোর নেন ৪ উইকেট। ৩টি করে উইকেট নেন অজিত রাম এবং প্রদোষ রঞ্জন পাল।
জেতার জন্য ৭১ রান তাড়া করতে নেমে সহজেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছ যায় তামিলনাড়ু। ১ উইকেট হারিয়ে তারা জয় ছিনিয়ে নেয়। ওপেন করতে নেমে সুরেশ লোকেশ্বর ১৯ করে আউট হয়ে গিয়ে🐭ছিলেন। তবে নারায়ণ জগদীশান অপরাজিত ২৬ এবং প্রদোশ রঞ্জন পাল অপরাজিত ২২ করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।