রঞ্জি ট্রফি তথা ভারতীয় ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের ইতিহাসে আগে যা কখনও ঘটেনি, তেমনই অবাক করা ঘটনা চোখে পড়ল মুম্বই বনাম বরোদা কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে। বিকেসဣি গ্রাউন্ডে বরোদার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন মুম্বইয়ের ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটার।
দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা তনুষ কোটিয়ান ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১১৫ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ১০টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১২♛৯ বলে ১২০ রান করে অপরাজিত থাꦡকেন। ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামা তুষার দেশপান্ডে ৯টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১১২ বলে সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকে যান। তিনি শেষ পর্যন্ত ১০টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ১২৯ বলে ১২৩ রান করে আউট হন।
তুনষ ও তুষার, উভয়েরই ফার্স্ট ক্লাস ক্🎉রিকেটে এটি প্রথম শতরান। ডানহাতি অফ-স্পিনার তনুষ এর আগে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ১০টি হাফ-সেঞ𝄹্চুরি করেছেন। তবে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছলেন এই প্রথম। অন্যদিকে ডান-হাতি পেসার দেশপান্ডে এর আগে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে একটি মাত্র হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রঞ্জি ট্রফি তথা ভারতের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট🍬ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও দলের ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটার একই ইনিংসে শতরান করলেন। সার্বিকভাবে ফার্স্🐓ট ক্লাস ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটল দ্বিতীয়বার। এর আগে দু'জন ভারতীয় ক্রিকেটারই অবশ্য এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। ১৯৪৬ সালে সারের বিরুদ্ধে তিন দিনের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ইন্ডিয়ান্স দলের চাঁদু সারওয়াটে ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। সেই ইনিংসেই ১১ নম্বের ব্যাট করে শুটে বন্দ্যোপাধ্যায় ১২১ রান করে আউট হন।
তনুষ ও তুষার এই ইনিংসে শেষ উইকেটের জুটিতে যোগ করেন ২৩২ রান। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে এটি শেষ উইকেটের জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তোলা💖র নজির। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় সর্বকালীন রেকর্ড। ✅রঞ্জিতে শেষ উইকেটে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ড রয়েছে অজয় শর্মা ও মনিন্দর সিংয়ের নামে। ১৯৩২ সালে বম্বের বিরুদ্ধে রঞ্জি সেমিফাইনালে শেষ উইকেটের জুটিতে ২৩৩ রান যোগ করেন দিল্লির দুই ব্যাটার।
বরোদার বিরুদ্ধে এই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বই ৫৬৯ রান তোলে। প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য বরোদার সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৬০৬ রানের। পঞ্চম দ🔴িনের শেষ ২টি সেশনে এত রান তুলে ম্যাচ জেতা কার্যত অসম্ভব। সুতরাং বলাই যায় যে, প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে চলতি রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের টিকিট কার্যত পাকা মুম্বইয়ের।