শুভব্রত মুখার্জি:- বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির নয়া চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমানে বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ। ১ ডিসেম্বর থেকে তিনি তাঁর নয়া দায়িত্বে কাজ শুরু করবেন। বর্তমান চেয়ারম্যান ꦚগ্রেগ বার্কলের সময়কাল শেষ হওয়ার পরেই দায়িত্ব নেবেন জয় শাহ। স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন এই সময়ে সবার মনেই থাকে। আর তা হল নয়া চেয়ারম্যান হিসেবে জয় শাহর ভবিষ্যত পরিকল্পনা বা ভিশন ঠিক কী হতে চলেছে? সেই বিষয়টিও কার্যত নির্বাচনে জয়ের পরেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেস্ট ক্রিকেট অর্থাৎ লাল বলের ফর্ম্যাটকেই যে তিনি বেশি গুরুত্ব দেবেন সে কথা নিশ্চিত করেছেন তিনি।
নয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরেই টেস্ট ক্রিকেটকে যে তিনি আলাদা করে গুরুত্ব দেবেন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন 𝄹জয় শাহ। ঘটনাচক্রে কোন বিরোধিতা ছাড়াই আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে জয় শাহর বয়স মাত্র ৩৫ বছর। আইসিসির ইতিহাসেও সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হলেন তিনি।এমন একটা সময়ে জয় শাহ আইসিসির দায়িত্ব নিলেন যে সময়ে ক্রিকেটের প্রশাসন একটা ট্রানজিশান পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমস💛ে দীর্ঘদিন বাদে ফিরে আসতে চলেছে ক্রিকেট। ফলে জয় শাহর চ্যালেঞ্জটা মোটেও সহজ হবে না। দীর্ঘদিন ক্রিকেট প্রশাসনে রয়েছেন জয় শাহ। বিসিসিআইতে প্রশাসক হিসেবে তাঁর অভিষেক হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২০২১ সালে তিনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন… দিল্লি ক্যাপিটালসের হেড কোচ হচ্ছেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন সতীর্𝓀থকে দিতে চান গুরু দ𝔉ায়িত্ব
তাঁ♉কে বিরোধিতা ছাড়াই নির্বাচনের জন্য তিনি আইসিসির সদস্য বোর্ড এবং তাদের কমকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি আইসিসির সদস্য বোর্ডদেরকে আমার তরফ থেকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আইসিসির চেয়ারম্যান পদের মতন গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্যশালী একটি পদের জন্য তারা আমার প্রতি যে আস্থা রেখেছে তাতে আমি কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের সবাইকে একটা বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই তা হল সারা বিশ্বে আমাদের খেলাকে পৌঁছে দিতে, তাকে উন্নতির চরম শিখায় নিয়ে যেতে আমি বদ্ধপরিকর। আমি জানি আপনাদের আমাকে নিয়ে প্রত্যাশা অনেক বেশি। তা পূরণ করার অঙ্গীকার আমি করছি।’
আরও পড়ুন… পিসিবি-র ঘরোয়া ক্ဣরিকেটে মেন্টরের দায়িত্বে মিসবাহ-সাকলিন-সরফরাজ-মালিক-ওয়াকꩵাররা
তিনি আরও লেখেন, ‘ক্রিকেটের প্রতি আমি আমাকে উৎসর্গ করলাম। ২০২৮ অলিম্পিক গেমসে ক্রিকেট꧅ের ফের অভিষেক হতে চলেছে। তা আমাদের কাছে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমার কাছে এই সময়ে আইসিসিকে ন꧑েতৃত্ব দেওয়াটা খুব গর্বের। আমার সময়কালে আমি নতুন প্রতিভা খুঁজে পাবে আনতে একটি আলাদা প্রোগ্রাম করার চিন্তাভাবনা করেছি। এই বিষয়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের আরো একটা বিষয় দেখতে হবে যাতে ক্রিকেটাররা আরো বেশি করে টেস্ট ম্যাচ খেলতে আগ্রহী হয়। টেস্ট ক্রিকেট যাতে আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পায় তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে টেস্ট ক্রিকেটকে যতটা সম্ভব আরও প্রাধান্য দেওয়া।’