টি ট♚োয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-র পর বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা থাকলেও টেস্ট দলের অধিনায়ক নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবি এবং কোচ জেসন গিলেস্পি ব্যস্ত আসন্ন আন্তর্জাতিক মরশুমের আগে জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক বাছতে। তবে তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। শান মাসুদের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে তারা। সেই কারণেই টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তান দলের দায়িত্ব সামলাবেন শান মাসুদ।
সীমিত ওভারের অধিনা𒁃য়কত্ব পাওয়ার পর বাবরকে দীর্ঘ ফরম্যাটের অধিনায়ক করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল, কিন্তু বর্তমানে তা হয়নি। সাদা বলের ক্রিকেটে বাবরের অধিনায়কত্বের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তান এই বছরের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে। এছাড়াও বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে তারা। পিসিবি বুধবার একটি সভা আয়োজন করেছিল যেখানে বোর্ডের সিনিয়র কর্মকর্তা, জাতীয় নির্বাচক, গিলেস্পি, সাদা বলের কোচ গ্যারি কার্স্টেন এবং সহকারী কোচ আজহার মাহমুদ অংশ নিয়েছিলেন। এবং সেই সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। এই বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব নেওয়া মাসুদ পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন… ভারতের এই দুই তরুণ ক্রিকেটার ভাঙত🧸ে পারেন লারার ৪০০ রানের রেকর্ড! কিংবদন্তির বড় ভব🦩িষ্যদ্বাণী
লাল এবং সাদা বলের ফর্ম্যাটে জাতীয় দলের একটি বিস্তৃত ব্লুপ্রিন্ট প্রস্তুত করা নিয়ে কথা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠকটি অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল। বৈঠকে অগস্ট থেকে জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজের জন্য মাসুদকে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বহাল রাখার সমর্থন পাওয়া যায়। তবে বাবরের সাদা বলের অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান হিসেবে বাবর আজমের পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক আলোচনা হ𒁏য়েছিল।
বাবরকে টার্গেট করেছিলেন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার
সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারের আক্রমণের মুখে পড়েন বাবর। এই বৈশ্বি▨ক টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের যাত্রা গ্রুপ পর্বেই থেমে গিয়েছিল, তারপরে শোয়েব মালিক সহ কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার বাবরকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। জানা গেছে, গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বাবর সব ফরম্যাটের কমান্ড ছেড়ে দিয়েছিলেন, তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে তাকে আবার সীমিত ওভারের কমান্ড দেওয়া হয়েছিল। শাহিন শাহ আফ্রিদিও বিশ্বকাপের সময় ভালো আচরণ করেননি বলে একটি টিভি চ্যানেল দাবি করা হয়েছিল। এরপর বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। চ্যানেলটি দাবি করেছে যে কার্স্টেন তার প্রতিবেদনে বলেছেন যে শাহিন ট꧅িম ম্যানেজমেন্টকে সহযোগিতা করছেন না এবং দলে কোনও শৃঙ্খলা ছিল না।